The Web This Blog

Monday, April 1, 2019

“ওঁ” এর উচ্চারণ


আমরা সামান্য রোগ হলেই ডাক্তার এর কাছে, যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে আর ঔষধ কম্পানির লাভ হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী মুনী ঋষিরা বহু বহু বছর আগে এমন কিছু নিয়মাবলী ধর্মের মাধ্যামে আমদের মাঝে দিয়ে গেছেন যা সঠিক ভাবে পালন করলে আমরা অনেক সুস্থ থাকতে পারি। তেমনি একটি বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করবো।
সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বাস করে “ওঁ” শব্দ পৃথিবীর আদি শব্দ, মানে এই শব্দ থেকেই পৃথিবীর সৃষ্টি। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের সকল পূজার মন্ত্রেই “ওঁ” শব্দটি উচ্চারণ করেন। আসুন যেনে নেই ওঁ উচ্চারণের কিছু উপকারিতা, যাতে ধর্মীয় বিষয় যতটা না আছে তার চেয়ে অধিক আছে মানুষকে সুস্থ থাকার বিষয়। “ওঁ” উচ্চারণে কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্য বর্ধক আর আরোগ্য লাভ হয় তাই এখন জানবো।

ওঁ” শব্দটি মূলত তিন অক্ষরের সমষ্টি, ১। অ ২। উ ৩। ম্।
অ” এর ধাতুগত অর্থ উৎপন্ন হওয়া
এর ধাতুগত অর্থ বিকাশ
ম” এর ধাতুগত অর্থ হলো মৌন হওয়া অর্থাৎ ব্রহ্মেলীন হয়ে যাওয়া
-:উচ্চারণ বিধি:-
সকালে উঠে পবিত্র হয়ে “ওঁ” ধ্বনি উচ্চারণ করতে হবে“ওঁ” এর উচ্চারণ পদ্মাসন, অর্ধ-পদ্মাসন, সুখাসন বা বজ্রাসনে বসে অথবা স্বাভাবিক ভাবে বসেও করতে পারেন
) থাইরয়েড (Thyroid):-
ওঁ” এর উচ্চারণ করলে গলায় এক প্রকার কম্পন উৎপন্ন হয় যার ফলে Thyroid গ্রন্থিতে Positive প্রভাব পড়তে থাকেযার ফলে যারা সংগীত করেন তাদের জন্য বিশেষ ভাবে উপকার।
) মানষিক দুর্বলতা, দুশ্চিন্তা:-
যারা কথায় কথায় ঘাবড়ে যান অথবা অধীর হয়ে যান তাহলে “ওঁ” এর উচ্চারণ থেকে উত্তম আর কিছুই নেইএটা শরীরের বিষাক্ত রস দূর করে অর্থাৎ চিন্তার কারণে উৎপন্ন হওয়া দ্রব্যকে (Toxin) নিয়ন্ত্রণ করেএটা উচ্চারণ করলে পুরো শরীর চিন্তা বিহীন হয়ে যায়।
) রক্তের প্রবাহ ও পাচন শক্তি বৃদ্ধি:-
ওঁ”এর উচ্চারণ হৃদয় আর রক্তের প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে পাচন শক্তি বৃদ্ধি করে, যার ফলে মানুষের আহারের আগ্রহ বারে।
) মনে আনে স্ফূর্তি:-
ওঁ” এর উচ্চারণ মনের এক প্রকার চঞ্চলতা বারে যার ফলে প্রতিদিন মনে আনবে স্ফূর্তি। শারিরিক ক্লান্ত হওয়ার থেকে বাঁচতে এর থেকে উত্তম উপায় আর কিছুই নেই।
) ঘুম:-
ঘুম না আসা বা অনিদ্রার মহা ঔষধ “ওঁ” এর উচ্চারণরাতে শোওয়ার আগে কিছু সময় পর্যন্ত মনে মনে এটা করলে ঘুম অবশ্যই আসবে
) ফুসফুস আর মেরুদন্ড:-
কিছু বিশেষ প্রাণায়ামের সাথে এটা করলে ফুসফুস ভাল থাকে“ওঁ” শব্দ উচ্চারণ করলে শারিরিক এক প্রকার কম্পন উৎপন্ন হয়যে কম্পনের ফলে মেরুদন্ডের হাড়গুলো প্রবাহিত হয়ে মেরুদন্ডের ক্ষমতা বাড়ায় দিবে।

No comments:

Post a Comment