বাণী
নং-
২২৬
তপোবিধায়না
(দ্বিতীয়
খন্ড)
১)
ইষ্টনিষ্ঠ
হও,
ইষ্টার্থ
যা'-কিছুর
অনুচৰ্য্যাই
তোমার
জীবনে সক্রিয়ভাবে
প্রথম
ও প্রধান ক'রতে
চেষ্টা কর;
২)
এর
সঙ্গে সঙ্গে
যাজন-যাজনার
সহিত
লোক-অনুচর্য্যার
যা'-কিছু
পার-
ক'রতে
ত্রুটি ক'রো
না,
আর,
তপজপ
ইত্যাদি
তাঁ’র
অনুমোদিত যা'-কিছু,
তা’
ক'রতে
বিরত থেকো না-
বিশেষ
কারণ-ব্যতিরেকে;
চলার
ফাঁকে-ফাঁকে
কিংবা
বিশ্রামের সময়
তা'কে
চিন্তা করো এবং
তা'র
বাণীগুলিকে স্মরণে এণে
তা’র
কিছু-না-কিছু
অনুশীলন ক'রবেই-
রোজই
নানা রকমে;
৩)
নিয়মিতভাৰে
ইষ্টভৃতি
ক'রবেই
কি ক'রবে;
৪)
তা'
ছাড়া,
সাধু
চেষ্টায়
প্রত্যহ
কিছু-না-কিছু
অর্থাৎ,
প্রীতিপ্রদ
ব্যবহারোপযোগী
জীবনীয়
কিছু সগ্রহ ক'রে
তাঁ'কে
বস্তবে উপহার দেবে-
তোমার
শক্তিতে যতখানি কুলায়;
ইষ্ট-সানিধ্যে
যদি না থাক,
আর,
তঁৎসকাশে
পাঠাবার
সুবিধা
যদি নাই হয়,
তাহ'লে
ইষ্টার্থে
কোন
শ্রেয়জনকে দিও;
যা'দের
ভরণ-পোষণ
ইষ্টের
উপরই নির্ভর করে-
তা'ৱা
যদি দৈনন্দিন অবশ্য অবশ্যই
এমনতরভাবে
সংগ্রহ ক'রে
ঐ
তাঁ’রই সেবানূচৰ্য্যার
অর্ঘ্য-স্বরূপ
নিবেদন করে,
তা'রও
অনেক বিকৃতির হাত হ'তে
রেহাই
পেতে পারবে এতে;
তবে
এটা কর্ত্তব্য-নিবন্ধন
হ'লে
হয় না,
অন্তর-আগ্রহ-নিবেন্ধন
হওয়া চাই;
৫)
ইষ্টের
স্বরণ ও প্রীত্যর্থে-
তুমি
ভালবাস
এমনতর
কোন জিনিষ
উৎসর্গ
ক'রো
তোমার
স্বাস্থ্য যা’তে অক্ষুন্ন
থাকে
তা’র
প্রতি লক্ষ্য রেখে;
জীবনে
সেটিকে
নিজের
তৃপ্তির জন্য
আর
ব্যবহার ক'রো
না;
৬)
ইষ্টার্থ-শুভ
করণীয় যা'-কিছু
তা'
ক'রতে
পারতপক্ষে
অবহেলা ক'রো
না,
আর,
অন্যেরও
শুভ-সম্বর্দ্ধনায়
পারতপক্ষে
বিরত থেকো না;
৭)
ইষ্ট-নীতি-বিধিগুলিকে
যথাসম্ভব
পরিপালন ক'রে
চলো-
হাতেকলমে,
কথায়-কাজে;
অন্তর-আগ্রহ
নিয়ে
কিছুদিন
ক'রেই
দেখ না কী হয়!
এমনি
ক'রতে
ক'রতে
এগুতে থাক,
তোমার
ছোট্ট জীবনে
এই
অনুষ্ঠানগুলি
যত
বস্তেবে অভ্যস্ত হ'য়ে
উঠবে,-
ভেবেচিন্তে
না দেখলে
বুঝতেই
পারবে না-
তুমি
কতখানি বেড়ে উঠেছ অজান্তে;
আমার
কথা কি শুনবে?
তা’
কি তুমি ক'রবে?
ক'রলে
দেখতে পাবে-
স্বস্তিও
ধীর পায়ে
এগিয়ে
আসছে তোমার জীবনে।
~~
শ্রীশ্রীঠাকুর
No comments:
Post a Comment