The Web This Blog

Sunday, October 5, 2008

সাজ্জাদ আলী যুবরাজ

গত ৪ অক্টোবর সন্ধা ৭.৪৫ মিনিট আমার একমাত্র বদ্ধু এই পৃথিবী থেকে চলে গেল। বদ্ধু বলতে যা বুঝায় ও ছিল তাই। যুবারজ আর আমি একই এলাকায় থাকতাম। ওর সাথে পরিচয় ২০০২ এর দিকে যখন বিবিএস এ পড়ি। প্রায় ৬ টি বছর আমারা এক সাথে হেসেছি, খেলেছি, খেয়েছি।


পৃথিবী থেকে একদিন সবাইকে যেতে হবে। কিন্তু বদ্ধুকে এ ভাবে বিদায় দিতে হবে কখোন সপ্নেও ভাবিনি। শেষের কয়েকটা দিন আমার সাথে বেশী সময় কাটিয়েছে। ৪ তারিখ ও সাথে আরও ২ বদ্ধু শরিয়তপুর থেকে ঢাকা আসছিল। মাওয়া ঘাটে যখন লঞ্চ থামে তখন নামতে গিয়ে পরে যায় পদ্মার জলে। সাতার জানতনা তারপর তখন ছিল প্রচন্ড ঢেও। হয়তো তাকে সৃষ্টিকর্তার কাছে দ্রুত পৌছে দেবার জন্য এই ব্যবস্থা।


ডুবোরি নামনো হলো, লাশ পাওয়া গেল বেশ কিছুদূর পর। ৫ তারিখ ভোর ৫ টার দিকে যখন লাশ ঢাকায় নিজ বাড়িতে আনা হলো তখন বাড়ির যে কি অবস্থা তা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কবর দেওয়া হলো আসরের নামাজের পর জুরাইন কবর স্থানে।


একদিন আগে ছিল ঈদ। চাঁদ রাতের দিন আমি, নূর মোহাম্মদ ও যুবরাজ একসাথে রাত প্রায় ২ টা প্রর্যন্ত এক সাথে কাটালাম। ঈদের দিন বিকাল থেকে রাত ৯ টা প্রর্যন্ত এক সাথে গল্প করলাম। এটাই যে হবে ওর সাথে আমার শেষ দেখা ও কথা বলা কে যানতো।


চাঁদ রতের দিন আমাকে ঈদের শুভেচ্ছা যানিয়ে এই এসএমএস পাঠায়.....


“A true friend is not like the rain which pours and goes away. A true friend is like a air sometimes silent but always around u.” – Juboraj


আর কেও কখোনও আমাকে যখন তখন বাসা থেকে ঢেকে নিয়ে যাবে না। মেজর রাম নামে ঢাকবে না। কয়েক দিন পর লন্ডন যাবার কথা এমবিএ পড়তে। কত সপ্ন ছিল ওর সব শেষ হয়ে গেল এক রাতে।


ওর সম্র্পকে লিখে শেষ করা যাবে না। হাত ভারি হয়ে যাচ্ছে লিখতে পাড়ছি না। ওকে সৃষ্টিকর্তা স্বর্গে সুন্দর একটা ঘরে থাকতে দিবে এই প্রার্থনা করি। ওর পরিবারকে ধৈর্য্য ধারন করার শক্তি দেও প্রভু।

No comments:

Post a Comment