The Web This Blog

Thursday, May 28, 2020

কর্মফল সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর কি বলেছেন?

শরৎ দা (হালদার)শুনেছি কৰ্ম্মফল মানুষকে ভোগ করতে হয়ই, এ হ’তে কি মানুষের রেহাই নেই?

শ্রীশ্রীঠাকুর — কৰ্ম্মই জীবনের নিয়ন্ত্রণ-সূত্র। কৰ্ম্মফল মানুষের চরিত্রে ও মস্তিস্কে বিশেষ-বিশেষ প্রবণতা ও ঝোঁকের সৃষ্টি ক'রে থাকে, তার চলনও তাই-দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়, এবং তার ফল যা' হবার তাও হ'য়ে থাকে। কোন কায়দায় পূৰ্ব্ব-কৰ্ম্মফল-প্রসূত খারাপ বুদ্ধি, প্রবণতা ও ঝোঁকগুলিকে যদি বদলে দেওয়া যায়, অর্থাৎ ভালর দিকে মোড় ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তাহ'লে দুর্ভোগের হাত-থেকে অনেকখানি রেহাই পাওয়া যেতে পারে। তবে, আপনার আগের কর্মের ভিতর দিয়ে যদি অপরের ক্ষতি হ'য়ে থাকে, তার একটা প্রতিক্রিয়া ঘুরে-ফিরে আপনার উপর এসে বর্ত্তান সম্ভব। কিন্তু ভালমন্দ যা'-কিছুর শুভ-নিয়ন্ত্রণে যদি আপনি অভ্যস্ত হন, তাহ'লে মন্দ-কিছু ঘটলেও তা' আপনাকে বিধ্বস্ত করতে পারে কমই। তাই, সবকিছুকে উপেক্ষা ক'রে ইষ্টকে অনুসরণ ক'রে চলতে হয়। মন যে কতরকম বাতলায়, তার কি ঠিক আছে? মনের কথা শুনে বিভ্রান্ত হ'তে নেই। যত কষ্টই হোক, ইষ্টের নির্দেশ কাঁটায়-কাঁটায় পালন ক'রে চলতে হয়। এই কষ্টের ভিতর-দিয়ে বহু কষ্টের হাত-থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। আমি অনেক সময় মানুষকে খামাকা এক-একটা কাজ করতে বলি। বুদ্ধি থাকে, otherwise engaged (অন্যথা ব্যাপৃত) রেখে অন্য-একটা বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে নেওয়া। তাই, যারা কথা শোনে, তাদের অনেক বিপদ কাটিয়ে নেওয়া যায়। কথা না-শুনলে তাদেরও যন্ত্রণা, আমারও যন্ত্রণা। আমি একজনকে হয়তো বললাম-বাইরে বেরিয়ে কাজ নেই, এখানে থাকেন, লোকজন আসলে তাদের সঙ্গে যাজন-টাজন করবেন, কথাবার্তা বলবেন, আমার এখানে ঘুরবেন-ফিরবেন। তাতে তার হয়তো বিশেষ কতকগুলি অসুবিধা 'তে লাগল — পয়সাকড়ির টানাটানি, বাড়ীতে অশান্তি ইত্যাদি। তাই, আমার কাছে হয়তো বলল- 'ঠাকুর! এখানে 'সে-'সে থাকি, কোন কাজকর্ম হয় না, অমুক জায়গায় গেলে খুব ভাল কাজকর্ম হয়, আমার শরীর-মনও ভাল থাকে, আপনি যদি অনুমতি দেন, তাহ'লে বেরোই' আমি হয়তো দেখলাম — তার অত্যন্ত আগ্রহ, তখন যদি না করি, তাহ'লে মনে খুব ব্যথা পাবে, সে-ক্ষেত্রে অগত্যা হয়তো মত দিলাম। বাইরে যেয়ে হয়তো একটা কঠিন অসুখ বাধিয়ে আসল, খুব ভুগল।

আলোচনা-প্রসঙ্গে, পঞ্চম খন্ড
১৫-১০-১৯৪৩ ইং, শুক্রবার

Monday, May 25, 2020

আমরা কি প্রিয়পরমের প্রচার করছি, নাকি নিজের?

বেশ কিছুদিন যাবত আমার মত গৃহবাসী (Lockdown) গোটা বিশ্ব। এই সময় সকলের সাথে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হলো সামাজিক সাইট ও মোবাইল। এই সময়ে আমার সাথে এমন অনেক গুরু ভাই ও মায়েদের পরিচয় হয়েছে যাদের স্বশরীরে কখনো দেখেছি কিনা যানি না। তারপরও গুরু ভাই হিসাবে তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন করে নিয়েছি।

যেহেতু গত দুই মাস সারাদিন ঘরবন্ধী সেই কারনে বেশির ভাগ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটানো হয়েছে। নতুন গুরু ভাইরা সাংগঠনিক ভাবে তারা বিভিন্ন সংগঠনের হয়ে ঠাকুরের কাজ করছে। কিছু কিছু বিষয় আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে কিছুটা কষ্ট দিয়েছে, যার কারনেই আজকরে এই লেখার সূত্রপাত। কারো ভক্তি বা বিশ্বাসে আঘাত করার জন্য নয় শুধু বিষয়টি ভাবতে বলবো। যদি ভাল মনে করেন তাহলে পালন করবেন না হয় করবেন না, সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত।

যে বিষয়গুলো আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে খুব কষ্ট দিয়েছে সে গুলো হলোঃ-

) অনেকেই পরম দয়ালের বিভিন্ন বানী, জীবনির কিছু ঘটনা বা কোন আলোচনা Facebook এ প্রকাশ করে থাকেন। এটা খুবই ভাল কাজ, কারন অনেক বানী বা বিষয় আছে যেগুলো অনেকেরই অজানা। তাদের প্রতি অনুরোধ লেখাগুলো যাতে নির্ভূল হয় এবং শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র নামটিও সঠিক ভাবে লিখবেন। লেখক হিসাবে তার নিচে নিজের নাম দিবেন না কখনোই। বেশি ভালো হয় যদি সূত্রটি দিতে পারেন, কোন বইতে আছে সেই ঘটনা বা বিষয়টি।

) অনেকেই পরম দয়ালের বিভিন্ন ছবি বা বিগ্রহ প্রকাশ করেন যেটা খুবই ভাল লাগে। কিন্তু কষ্টটা লাগে তখনই যখন দেখি ছবির উপরে বিভিন্ন লেখা ও অন্য কোন ছবির সাথে যুক্ত করা বা Graphic edit করা। এটা কি কারনে করেন জানিনা। আপনার কম্পিউটার ও মোবাইল দক্ষতা শ্রীশ্রীঠাকুরের ছবির উপর না দেখালে কি হয়না। অন্য ধর্মের লোকদের দেখি তাদের যুগো-পুরুষোত্তমদের কোন ছবি ভিন্ন ভাবে প্রচার করলে তারা কতটা ভয়ানক হয়। সৎসঙ্গী হিসাবে আপনি কি এটা ভেবে দেখেছেন?

) অনেককেই দেখা যায় তাদের নিজেদের নামে বা বেনামে শ্রীশ্রীঠাকুরকে প্রচার করবে বলে এক বা একাধিক Facebook Page বা Group আছে। খুবই ভালো। কিন্তু তারাকি পরম দয়ালকে নাকি নিজেদের প্রচার করছেন ভাবতে কষ্ট হয়। কারন অনেকেই এটা করছেন শুধু মাত্র সাংগঠনিক Like Comments পাওয়ার জন্য। আর তাদের যদি সংগঠনের নীতি নির্ধারকদের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকে তাহলেতো কথাই নাই। তাদের এই আলোচনা, ভিডিও কয়জন অদিক্ষিত মানুষ দেখছে বা দেখে দিক্ষা নিচ্ছে জানিনা, কারন যারা দেখছে তারা বেশির ভাগ মানুষই এই বিষয়ে পূর্বেই অবগত আছে বলে আমার বিশ্বাস। এতেকরে শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রচার হচ্ছে নাকি আপনার Page বা Group প্রচার হচ্ছে বুঝতে পারছি না।

) অনেককেই দেখেছি যদি বলা হয় দাদা আসুন আমরা কয়েকজনে মিলে শ্রীশ্রীঠাকুরের কোন একটি গ্রন্থ বা সাংগঠনিক পত্রিকা কম দামে ছাপিয়ে বিনা মূল্যে বা কম দামে বিক্রি করি তাহলে তাদের কাছে টাকা থাকে না। নানান অজুহাত দেখায় ছেলে-মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে, বৌ গান শিখে, আমার ব্যাবসা মন্দা চলছে, নতুন একটা জমি কিনেছে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু যখনি বলা হয় বইটিতে শ্রীশ্রীঠাকুরের নামের নিচে আপনারও নাম লেখা থাকবে। তখনই তাদের টাকা শ্রীকুবের দেবতা এসে দিয়ে যায়।

) অনেকেই দেখা যায় যারা বছরে এক বা দুইবার সংগঠনের কোন উৎসবে দেখা যায় শুধু মাত্র মাইকে তাদের নিজেদের আলোচনা করতে, সংগীত পরিবেশন করতে বা আনন্দবাজারে প্রসাদ গ্রহন করতে। সকালে কিছুটা ব্যস্ত ছিল বলে তারাতারি আসতে পারেননি। যদি বলা হয় দাদা উৎসবের জন্য এই কাজটা করে দিতে হবে, আজকে রাত্রে উৎসব অঙ্গনে থেকে মাঠ পরিস্কার করতে হবে, মঞ্চটা সাজাতে হবে, উৎসবের জন্য কিছু পোষ্টার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে লাগাতে হবে, আনন্দবাজের জন্য বাজর করতে হবে তখনই তাদের বাতের ব্যথা শুরু হয়ে যায় না হয় অফিসে বড় কোন একটি মিটিং থাকে। তখন সংগঠনের টাকা খরচ করে লোক ভাড়া করতে হয়।

) অনেকেই শ্রীশ্রীঠাকুরের চেয়ে সংগঠনের কোন কোন ঋত্তিক দাদাদের বেশী ভালবাসি, কারন তাতে জাগতিক কিছু লাভ থাকতে পারে বলে মনে হয়। এমনকি সংগঠনের সেই শ্রধেয় ব্যক্তি যদি কোন ভুল বিষয় বুঝায় সেটাই অনেকের কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য হয়ে যায়। যেখানে শ্রীশ্রীঠাকুর সবকিছু তার বানী ও আলোচনায় বলে গেছেন। যদি কিছু বিষয় বিস্তারিত জানতে হয় তাহলে বিজ্ঞ কোন সহ-প্রতি ঋত্বিক বা শ্রীশ্রীঠাকুর পরিবারের কারো কাছ থেকে বা পূজনীয় অধ্যক্ষ-এর কাছ থেকে জানা যেতে পারে। অনেক বিষয়ে দেখেছি একটি বিষয় তিন জন ঋত্তিক দাদা তিন রকম বুঝায় তখন নিজে যা জানতাম তাও ভুলে যাই।

) অনেক শাখা সংগঠনেই দেখা যায় একজন সরল কর্মী, যাজক, অধ্বর্য্যূ, সহ-প্রতি ঋত্বিকের চেয়ে এলাকার কোন বড় ব্যবসায়ী ব্যক্তি, উচ্চপদস্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তি এরা সংগঠনের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে থাকে, যার ফলে শ্রীশ্রীঠাকুরকে ভক্তির চেয়ে বড় ভোগ সাজিয়ে নিয়ে খুশি করানো হয়। শ্রীশ্রীঠাকুর কি এমন চেয়েছিলেন কিনা জানিনা। কারন যিনি সংগঠন চালান তার কতটা ভক্তি ও জ্ঞান শ্রীশ্রীঠাকুর সম্পর্কে আছে সেটা আগে যাচাই করা উচিৎ।

শ্রীশ্রীঠাকুরের একটি বানী দিয়ে লেখাটি শেষ করি,

সময় কিন্তু রয় না ব'সে
চলছে কেবল অবিরল,
করনীয় যা' এখনই কর
ভবিষ্যে যদি চা'স্ সুফল। ২৪
~ অনুশ্রুতি, ৬ষ্ঠ খন্ড, কর্ম

সবাই ভাল থাকুন। শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিজের মত প্রচার না করে তাঁর মত করেই আমরা প্রচার করি। সকলেই যেন তার মত হতে পারি, আমার মত করে শ্রীশ্রীঠাকুরকে যেন না সাজাই।

Monday, May 4, 2020

মকর রাশির (Capricon) বৈশিষ্ট্য


আমার প্রথম কন্যা আরুশী সরকার জন্ম গ্রহন করে ২৯ ডিসেম্বার ২০১৪ খৃষ্টাব্দ, জন্মগত ভাবে সে মকর রাশির জাতিকা। আমারা আজ জানবো মকর রাশির জাতক-জাতিকারা কেমন হয়।

যে সকল জাতক-জাতিকারা ইংরেজি ডিসেম্বর ২১ তারিখ থেকে জানুয়ারি ২০ তারিখ বা বাংলা সনের পৌষ ৭ থেকে মাঘ ৭ তারিখের মধ্যে জন্ম তারা মকর রাশি বা Capriconএই জাতক-জাতিকারা শনিগ্রহের প্রবাহিততারা খুব ধৈর্য, শ্রম ও কষ্ট সহিষ্ণু হয়ে থাকে। এদের অন্তর্দৃষ্টি বেশ তীক্ষ। প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই এরা তাদের যোগ্যতা দেখাতে পারে।

মকর রাশির শুভ সংখ্যাঃ- ১২
মকর রাশির অধিপতিগ্রহঃ- শনি (ধনাত্নক)
মকর রাশির শুভ রং- সাদা
মকর রাশির শুভ রত্ন পাথরঃ- ইন্দ্র নীলা (Blue Sapphire)

প্রানী রূপে মকর যেমন পর্বতারোহী, এই প্রানীরা বরফ আচ্ছাদিত পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে পারে, এই সকল জাতক-জাতিকারা সাধারনত নিঃসঙ্গ, মানুষের জীবনের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবসম্মত ও জড়বাদী এবং তাঁরা সবকিছু তাঁদের নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করে। এরা বাস্তববাদী, অতিসতর্ক, জেদি এবং গম্ভীর হয়ে থাকে। এরা খুবই ভালোভাবে জানে কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা ছাড়া কোনো সাফল্যই পাওয়া যায় না। এই সকল জাতক-জাতিকারা দায়িত্ব, ইচ্ছাশক্তি এবং কাজ করার ইচ্ছা আছে, এদেরকে প্রায়ই গম্ভীর, ধ্যানমগ্ন দেখা যায়, কিন্তু পাশাপাশি তাঁরা উচ্চাভিলাষী, ধৈর্যশীল এবং সৎ হয়ে থাকে। এদের জীবন সাধারণত খুবই সহজ, শান্ত এবং উদাসী, এরা সময় নিয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ করে, কিন্তু তা নিশ্চিত হয়ে করে, তাঁরা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব তথ্য গুছিয়ে তারপর সিন্ধান্ত নেয়।

এরা মনেকরে কেবল অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই কর্মজীবনের সাফল্য ও ক্ষমতা নির্ভর করে তাই তাঁদের লক্ষ্য প্রায়ই আর্থিক লাভ বা প্রতিপত্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। এরা কিছুটা কৃপণ বা মিতব্যয়ী হয়ে থাকে। যা অনেকের জন্যই ক্ষতির কারন হয়ে থাকে। এরা আগ বাড়িয়ে নতুন কারো সঙ্গে পরিচিত হওয়া বা সবার সঙ্গে সহজে মিশতে চায় না। নিজের মধ্যে কিছুটা জড়তা কাজ করে। পুরোনো রীতিনীতি মেনে চলতে এরা কিছুটা পছন্দ করে। নিজেকে সবসময় শুদ্ধ ও নিরাপদ রাখতে চেষ্টা করেএদের দায়িত্বজ্ঞান ও সচেতনতার ফলে অন্যরা সহজে এদেরকে বিশ্বাস করে। রহস্যজনক বিষয়ের প্রতি অনেকের ঝোঁক বেশী থাকে।

একজন মকর রাশির জাতক-জাতিকা জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রস্তুত। সাফল্য সাধারণত বেশি বয়সে আসে। এরা সদা সতর্ক ও হিসেবী হয়ে থাকেন। আরামপ্রিয় বলে অনেক সুযোগ হাতছাড়া হতে যেতে পারে। এরা যথেষ্ট কর্মশক্তির অধিকারী। সহজাতভাবে এদের মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে। মাঝে মধ্যে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হতে পারেজ। ভাগ্যোন্নয়নে এদের কর্মের বিকল্প নেই। নানারকমের প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করার মাধ্যমে এদেরকে সামনের পথে এগিয়ে চলতে হয়। এরা বাস্তব জীবন সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখেন বলে কল্পনায় ভেসে বেড়ান না।
এদের শরীরের দুর্বলতম অঙ্গ হচ্ছে হাঁটু, জয়েন্ট, কংকালতন্ত্র ও রক্তসংবহনতন্ত্র, কারো কারো ক্ষেত্রে পায়ে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন কিংবা অসুবিধা থাকতে পারে। এদের দাঁতগুলো হবে সুন্দর, সাদা এবং শক্ত নতুবা দন্তক্ষয়ের যন্ত্রণায় মুহুর্মুহু ডেন্টিস্টের কাছে ধর্ণা দিতে হতে পারে। সুস্বাস্খ্যের জন্যে এই জাতক-জাতিকাদের উচিৎ সূর্যালোকে যাওয়া এবং বৃষ্টির মধ্যেও হাঁটা। যেহেতু মকর ছাগলের প্রতীকধারী তাই এই জাতকরা খুব ভদ্রভাবে যে কোন একটা দলে নিজেদের অবস্থান করে নিতে পারে আর নিজের অজান্তেই পেছনের সারিতে নিজেকে ঢেকে ফেলেতেও পারে। সেহেতু এই রাশির জাতক-জাতিকাদের শারীরিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে চিনে ফেলাটা কিছুটা দুরূহ। মকর যেমন হতে পারে চওড়া কাঁধ বিশিষ্ট এবং পুরুষালী আবার চিকন কিন্তু শক্ত-সামর্থও হতে পারে কিংবা নাদুস-নুদুস আর নরম। কিন্তু তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য যাই হোক না কেন, সে যেখানে থাকবে সেখানে শেকড় গেড়ে থাকার মতো একটা লক্ষণ তার মধ্যে দেখতে পারা যায়
এই জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত লাজুক এবং মিষ্টি মনের মানুষ হলেও, তার মধ্যে যথেষ্ট জিদ রয়েছে। তবে এ ব্যাপারেও মকররা বিনয়ী। দেখতে সে অনকেটাই অসহায় দেখায়। আস্খা রাখার জন্যে এবং নিজের গোপন কথা বলার জন্যে তার মতো নিরাপদ মানুষ খুজে পাওয়া কঠিনতারা বেশ উপকারী এবং অবশেষে যেকারও কাছে সে এতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে যে, যেকেও তার কাছে নিজের ক্ষমতা হস্তান্তর করে দিতে বাধ্য। তখন মকরা এক কোণায় বসে তাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। যে কোন উদ্যোগে তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে অগ্রগামীর সারিতে থাকতে হবে তেমন না হলেও ,সে প্যারেডের অনুমতি দেবে এবং দৃশ্যের অলক্ষ্যে থেকে পেছন থেকে প্যারেড পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে। যেকোন সাহসী এবং উচ্চ উদ্দেশ্যসম্পন্ন পদক্ষেপ সফল করার জন্যে মকরকে জুড়ি নেই।

কোন মানুষই সব দিক দিয়েই সম্পূর্ন ভালো হয় না, দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। তাদের যে গুনটি সবাইকে মুগ্ধ করে ঠিক তেমনি সেই গুনটি মাত্রা অতিরিক্ত হলেই কিন্তু অন্যকে বিরক্ত করে তুলতে পারে। আমাদের দোষগুলো আমরা কতটা কমিয়ে রাখতে পারলাম বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলাম তার ওপরই নির্ভর করে আমাদের জীবনের সাফল্য। জ্যোতিষশাস্ত্রো মতে বৈশিষ্ঠ গুলো যে সবার জীবনে সমান ভাবে প্রভাব বিস্তার করে তা নয়। এক এক জনের জীবনে তা এক এক রকম প্রভাব বিস্তার করে।