আমার
প্রথম কন্যা আরুশী সরকার জন্ম
গ্রহন করে ২৯ ডিসেম্বার ২০১৪
খৃষ্টাব্দ,
জন্মগত
ভাবে সে মকর রাশির জাতিকা।
আমারা আজ জানবো মকর রাশির
জাতক-জাতিকারা
কেমন হয়।
যে সকল জাতক-জাতিকারা ইংরেজি ডিসেম্বর ২১ তারিখ থেকে জানুয়ারি ২০ তারিখ বা বাংলা সনের পৌষ ০৭ থেকে মাঘ ০৭ তারিখের মধ্যে জন্ম তারাই মকর রাশি বা Capricon। এই জাতক-জাতিকারা শনিগ্রহের প্রবাহিত। তারা খুব ধৈর্য, শ্রম ও কষ্ট সহিষ্ণু হয়ে থাকে। এদের অন্তর্দৃষ্টি বেশ তীক্ষ। প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই এরা তাদের যোগ্যতা দেখাতে পারে।
মকর
রাশির শুভ সংখ্যাঃ-
১২
মকর
রাশির অধিপতিগ্রহঃ-
শনি
(ধনাত্নক)
মকর
রাশির শুভ রং-
সাদা
মকর
রাশির শুভ রত্ন পাথরঃ-
ইন্দ্র
নীলা (Blue
Sapphire)
প্রানী
রূপে মকর যেমন
পর্বতারোহী,
এই
প্রানীরা বরফ আচ্ছাদিত
পাহাড়ের চূড়ায়ও
উঠতে পারে,
এই
সকল জাতক-জাতিকারা
সাধারনত নিঃসঙ্গ,
মানুষের
জীবনের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি
বাস্তবসম্মত ও জড়বাদী এবং
তাঁরা সবকিছু তাঁদের নিজেদের
সুবিধার জন্য ব্যবহার করার
চেষ্টা করে। এরা
বাস্তববাদী,
অতিসতর্ক,
জেদি
এবং গম্ভীর হয়ে থাকে। এরা খুবই
ভালোভাবে জানে কঠোর পরিশ্রম
এবং প্রচেষ্টা ছাড়া কোনো
সাফল্যই পাওয়া যায় না। এই সকল
জাতক-জাতিকারা
দায়িত্ব,
ইচ্ছাশক্তি
এবং কাজ করার ইচ্ছা আছে,
এদেরকে
প্রায়ই গম্ভীর,
ধ্যানমগ্ন
দেখা যায়,
কিন্তু
পাশাপাশি তাঁরা উচ্চাভিলাষী,
ধৈর্যশীল
এবং সৎ হয়ে থাকে। এদের জীবন
সাধারণত খুবই সহজ,
শান্ত
এবং উদাসী,
এরা
সময় নিয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ
করে,
কিন্তু
তা নিশ্চিত হয়ে করে,
তাঁরা
একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
নেওয়ার আগে সব তথ্য গুছিয়ে
তারপর সিন্ধান্ত নেয়।
এরা মনেকরে কেবল অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই কর্মজীবনের সাফল্য ও ক্ষমতা নির্ভর করে তাই তাঁদের লক্ষ্য প্রায়ই আর্থিক লাভ বা প্রতিপত্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। এরা কিছুটা কৃপণ বা মিতব্যয়ী হয়ে থাকে। যা অনেকের জন্যই ক্ষতির কারন হয়ে থাকে। এরা আগ বাড়িয়ে নতুন কারো সঙ্গে পরিচিত হওয়া বা সবার সঙ্গে সহজে মিশতে চায় না। নিজের মধ্যে কিছুটা জড়তা কাজ করে। পুরোনো রীতিনীতি মেনে চলতে এরা কিছুটা পছন্দ করে। নিজেকে সবসময়ই শুদ্ধ ও নিরাপদ রাখতে চেষ্টা করে। এদের দায়িত্বজ্ঞান ও সচেতনতার ফলে অন্যরা সহজে এদেরকে বিশ্বাস করে। রহস্যজনক বিষয়ের প্রতি অনেকের ঝোঁক বেশী থাকে।
একজন
মকর রাশির
জাতক-জাতিকা
জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য
কঠোর পরিশ্রম করতে প্রস্তুত।
সাফল্য সাধারণত বেশি বয়সেই
আসে। এরা সদা সতর্ক ও হিসেবী
হয়ে থাকেন। আরামপ্রিয় বলে
অনেক সুযোগ হাতছাড়া হতে যেতে
পারে। এরা যথেষ্ট
কর্মশক্তির অধিকারী। সহজাতভাবে
এদের মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতাও
রয়েছে। মাঝে মধ্যে আর্থিক
সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করতে
হতে পারেজ।
ভাগ্যোন্নয়নে এদের কর্মের
বিকল্প নেই। নানারকমের
প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করার
মাধ্যমে এদেরকে সামনের পথে
এগিয়ে চলতে হয়। এরা বাস্তব
জীবন সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা
রাখেন বলে কল্পনায় ভেসে বেড়ান
না।
এদের
শরীরের দুর্বলতম
অঙ্গ হচ্ছে হাঁটু,
জয়েন্ট,
কংকালতন্ত্র
ও রক্তসংবহনতন্ত্র,
কারো
কারো ক্ষেত্রে পায়ে কোনো ধরনের
আঘাতের চিহ্ন কিংবা অসুবিধা
থাকতে পারে। এদের
দাঁতগুলো হবে সুন্দর,
সাদা
এবং শক্ত নতুবা দন্তক্ষয়ের
যন্ত্রণায় মুহুর্মুহু
ডেন্টিস্টের কাছে ধর্ণা দিতে
হতে পারে।
সুস্বাস্খ্যের জন্যে এই
জাতক-জাতিকাদের
উচিৎ সূর্যালোকে যাওয়া এবং
বৃষ্টির মধ্যেও হাঁটা। যেহেতু
মকর ছাগলের
প্রতীকধারী তাই
এই জাতকরা খুব
ভদ্রভাবে যে
কোন একটা দলে
নিজেদের অবস্থান
করে নিতে
পারে আর নিজের
অজান্তেই পেছনের সারিতে নিজেকে
ঢেকে ফেলেতেও
পারে। সেহেতু
এই রাশির জাতক-জাতিকাদের
শারীরিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
দেখে চিনে ফেলাটা কিছুটা
দুরূহ। মকর যেমন
হতে পারে চওড়া কাঁধ বিশিষ্ট
এবং পুরুষালী আবার চিকন কিন্তু
শক্ত-সামর্থও
হতে পারে কিংবা
নাদুস-নুদুস
আর নরম। কিন্তু তার শারীরিক
বৈশিষ্ট্য যাই হোক না কেন,
সে
যেখানেই
থাকবে সেখানে শেকড় গেড়ে থাকার
মতো একটা লক্ষণ তার মধ্যে
দেখতে পারা
যায়।
এই
জাতক-জাতিকারা
অত্যন্ত লাজুক এবং মিষ্টি
মনের মানুষ হলেও,
তার মধ্যে
যথেষ্ট জিদ রয়েছে। তবে এ
ব্যাপারেও মকররা
বিনয়ী। দেখতে সে অনকেটাই
অসহায় দেখায়।
আস্খা রাখার জন্যে এবং নিজের
গোপন কথা বলার জন্যে তার মতো
নিরাপদ মানুষ খুজে
পাওয়া কঠিন। তারা
বেশ উপকারী এবং অবশেষে
যেকারও কাছে সে এতোই
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে
যে,
যেকেও
তার কাছে নিজের ক্ষমতা হস্তান্তর
করে দিতে বাধ্য।
তখন মকরা এক কোণায়
বসে তাকেই নিয়ন্ত্রণ
করতে শুরু করে। যে কোন
উদ্যোগে তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে
অগ্রগামীর সারিতে থাকতে হবে
তেমন না হলেও ,সে
প্যারেডের অনুমতি দেবে এবং
দৃশ্যের অলক্ষ্যে থেকে পেছন
থেকে প্যারেড পরিচালনা করার
ক্ষমতা রাখে। যেকোন সাহসী
এবং উচ্চ উদ্দেশ্যসম্পন্ন
পদক্ষেপ সফল করার জন্যে মকরকে
জুড়ি নেই।
কোন
মানুষই সব দিক দিয়েই সম্পূর্ন
ভালো হয় না,
দোষ-গুণ
নিয়েই মানুষ। তাদের যে গুনটি
সবাইকে মুগ্ধ করে ঠিক তেমনি
সেই গুনটি মাত্রা অতিরিক্ত
হলেই কিন্তু অন্যকে বিরক্ত
করে তুলতে পারে। আমাদের দোষগুলো
আমরা কতটা কমিয়ে রাখতে পারলাম
বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলাম
তার ওপরই নির্ভর করে আমাদের
জীবনের সাফল্য। জ্যোতিষশাস্ত্রো
মতে বৈশিষ্ঠ গুলো যে সবার
জীবনে সমান ভাবে প্রভাব বিস্তার
করে তা নয়। এক এক জনের জীবনে
তা এক এক রকম প্রভাব বিস্তার
করে।
No comments:
Post a Comment