The Web This Blog

Friday, December 9, 2011

একটি কাঠাল গাছ ও তার মালী



কবিতা বা গল্প লেখার অভ্যাস আমার আগে থেকেই। ছোট বেলায় ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে আমরা এই কাজ গুলো করতাম। তারপর নানান ব্যস্ততার কারনে সেই পথে আর বেশি দিন হাটা হয় নি। যখন প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম সেই এইচ, এস, সি, (২০০১ সাল) তখন একটা ডাইরি-তে অনেক গুলা কবিতা লিখে দিয়েছিলাম আমার প্রেয়সীকে। সেটাই ছিল আমার জীবনের শেষ কবিতা লেখা।

দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ একটি গল্প লেখার চেষ্টা করে আজ লিখতে বসলাম। প্রথমেই আমি লেখক জনাব আনিসুল হক কে ধন্যবাদ দিয়ে আমার গল্পটি শুরু করবো। তাকে আমার মত অনেকেই চিনেন একজন ভাল গল্পকার বা কলামিস্ট হিসাবে। বাংলা সাহিত্যে সুকুমার রায় কে বলা হয় ছন্দের জাদুকর। আমার কাছে আনিসুল হক সাহেব একজন রূপক গল্পের জাদুকর। যারা আনিসুল হক সাহেবের বিভিন্ন লেখা খবরের কাগজে পড়ছেন তারা জানেন তার লেখার ধরন।

আমার গল্পের নাম আমি দিয়েছি “একটি কাঠাল গাছ ও তার মালী”। এটি একটি রূপক গল্প। যদি কেহ এই গল্পের কোন চরিত্রের সাথে নিজের মিল খুজে পান তাহলে তা হবে একান্তই কাকতালীয়।

প্রথম দৃশ্য :-

গল্পের শুরুটা একটা কাঠাল গাছ, তার মালিক বা দাবিদার ও তার কিছু রক্ষনাবেক্ষণ কারি দের নিয়ে। কাঠাল আমাদের জাতীয় ফল। গাছটি লাগান হয় একটি মহৎ উদ্যেশ্যে। গাছটি যিনি প্রথম রোপন করেন তখন তিনি ভেবেছিলেন গাছটি আমার হলেও এর ফল আমি সবাইকে ভাগ দিয়ে খাব। তাই তিনি তার কিছু পরিচিত লোক দের তার সাথে রাখলেন দেখা শুনা করার জন্য।

অনেক দিন অতিবাহিত হবার পর, গাছের মালিক তার ব্যক্তিগত কারনে গাছটি তার এক শুভাকাঙ্ক্ষী কে উপহার হিসাবে দিয়ে দেন। কারন তিনি যানতেন কাঠাল তার শুভাকাঙ্ক্ষীর ও খুব পছন্দের একটা ফল। এবং তিনি তার সঠিক পরিচর্যা করবেন। এখন ২য় মালিক যিনি হলেন তিনি তার সাধ্য মত তার পরিচর্যা করতে লাগলেন।



(চলবে .........)


Saturday, November 19, 2011

একটি অপ্রকাশিত গল্প

নানা বিধ ব্যস্ততা এর কারনে অনেকদিন যাবত কিছু লেখা হচ্ছে না। আসলে চাকরি ছাড়ার পর কিছুদিন নিজেকে কাজ থেকে বিরতি দিলাম। মাঝে মাঝে কিছু বিরতি পরবর্তী কাজের উৎসাহ ও কর্মশক্তি জোগান দেয়। এখন আবার নিজেকে পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি বা চেষ্টা করছি।

আসলে এটি আমার অনেকদিনের একটি অপ্রকাশিত গল্প। একান্তই নিজের। মনের একটি কোনে পরে ছিল। কিছুদিন যাবৎ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো। যারা পড়বেন তারা হয়তো বলতে পারেন অপ্রকাশিত গল্প তাহলে কেন অপ্রকাশিত হল? জনৈক এক মনিষী বলেছিলেন, “দুঃখের কথা কারো সাথে আলোচনা করলে তাতে দুঃখ কমে, আর সুখের কথা বললে তাতে সুখের পরিমান বাড়ে।” সবাই যানে আমার বন্ধুর (প্রকৃত বন্ধু) সংখ্যা অনেক কম। তাই মাঝে মাঝে আমার এই ব্লগ-এ কিছু লিখে মনটা হালকা করি।

এতক্ষণ লেখক হুমায়ুন আহমেদ-এর মত অনেক প্রারম্ভিক আলোচনা বা প্যাচাল লিখলাম। সে যাই হোক, এখন আসল কথায় আসা যাক।

আমার মনে হয়, প্রতেক সুস্থ মানুষের কাছে তার পরিবারের গুরত্ব সবার আগে। আমারা চাকরি বা ব্যবসা যাই করি না কেন তা নিজের ও আমাদের পরিবারের জন্যই। তাই আমাদের এমন কোন চাকরি বা ব্যবসা করা উচিৎ নয় যাতে পরিবার থেকে দুরে যেতে হয়। হে প্রভু, আমাকে আমার পরিবার-পরিজন এর সাথে যেন সকল সময় ভালো ভাবে সময় কাটাতে পারি তার জন্য তোমার আর্শীবাদ কামনা করি।

সময়ের সাথে মানুষের চাহিদা রুচি-পছন্দ সব পরিবর্তন হয়, এটাই পৃথিবীর ধর্ম বা নিয়ম। এখন আমার পরিবার বলতে মা, বাবা আর আমি এবং অন্যান্ন। দুই বোন ছিল তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। পরম পিতার আর্শীবাদে হয়ত কিছুদিন এর মধ্যে আমি একা থেকে আমরা দুই জন হব, তারপর তিন, তারপর চার। এভাবেই পৃথিবী থেকে একদিন হয়ত চলে যাব। কিন্তু রয়ে যাবে আমার কর্মকান্ড গুলো। আমার মত ছোট বেলায় সবাই একটি ভাব-সম্প্রসারণ পড়ে থাকবেন, “মানুষ বাঁচে তার কর্মে, বয়সের মাঝে নয়।” যখন এটি পড়তাম তখন এর মর্ম কতটা বুঝতাম জানিনা তবে এখন বুঝি।

এখন মাঝে মাঝে যখন একা থাকি তখন নিজের অজান্তেই ফেলে আসা দিনগুলো খুব মনে পড়ে। আমার নিজের ভুল ও ভাল / খারাপ কাজ গুলো ভাবতে চেষ্টা করি। জীবনের ২৮-২৯ টি বছর পার করে এসেছি। অনেক সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল আবার অনেক গুলাই ভুল। সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে আমাকে নানান সাফল্য অন্যদিকে ভুল সিদ্ধান্ত গুল আমার জীবন চলার গতি কিছুটা হলেও মন্থর করে দিয়েছে।

এখন নিজেকে সমাজে একজন সু-প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসাবে তৈরি করার যুদ্ধে রত আছি। আমার বিশ্বাস পরম পিতার আর্শীবাদে একদিন হয়ত তা হতে পারব। সময়ই বলে দিবে কতটা হতে পেরেছি। আমার পরিচিত অনেকে জানতে চায় কেন আমি এত ভাল একটি চাকরি ছেড়ে দিলাম? তার সঠিক উত্তর আমি দিতে পারি না। কেন ছাড়লাম??? যারা “গুরুদক্ষিনা” (ভারতীয় বাংলা সিনেমা) দেখেছেন সেখানে নায়ক তাপস পাল এর মত আমার অবস্থা এখন। যাদের ছায়ায় এত বড় হলাম (চাকরি ক্ষেত্রে) তাদের কাছ থেকেই এত দূরে থাকতে হবে ভাবিনি। আমি জানতাম একদিন চাকরি ছাড়তে হবে, কিন্তু এমন ভাবে ছাড়তে হবে তা কখনই ভাবিনি। এখনও তার সঠিক কোন উত্তর আমি খুজে পাচ্ছি না। এটা কি আমার কোন ভুল নাকি সময়ের দাবি??

এখন একটাই সান্তনা নিয়ে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, পরম পিতা যা করেন তা নিশ্চয় তার সন্তানের জন্য মঙ্গলের জন্য। পৃথিবীটা ছোট, সেই তুলনায় বাংলাদেশ আর ছোট। বেচে থাকলে হয়ত ফেলে আসা মানুষ গুলো যাদের কে একসময় আর্দশ হিসাবে গ্রহন করেছিলাম তাদের সাথে দেখা হবেই। সবশেষে একটি গানের দুটি লাইন বলে শেষ করবো, “আমি আগের ঠিকানায় আছি / সময় করে এস একদিন / দুজনে কিছুক্ষন রব পাশাপাশি।” সবাই ভালো থাকেন।

Wednesday, August 10, 2011

How to copy a Joomla site from Localhost to a Remote host?

{পূর্বের ধারাবাহিক Part-1}

আমরা Joomla! 1.5 নিয়ে কাজ করছি। আমরা এতদিন শিখেছি কিভাবে লোকালহোস্ট-(localhost) জুমলা দিয়ে ওয়েবসাইট করা যায়। কিন্তু শুধু লোকালহোস্ট-এ কাজ করলেই তো হয় না, তা আবার Remote Server / Hosting Server -এ দিতে হবে। আজ শিখবো কিভাবে তা করতে হয়।


১। প্রথমে আমাদের FTP, Hosting Server, domain.com/subdirectory ইত্যাদি সর্ম্পকে ভালো ধারনা থাকতে হবে। কিভাবে ফাইল আপ করতে হয়, তা কিভাবে সংরক্ষন করতে হয় ইত্যাদি।


২। আমরা দুই ভাবে ফাইল গুলো আপ করতে পারি। ক) FTP software (e.g. FileZilla) ) Hosting Server (e.g. dsolutionhosting.com)। যেভাবেই করি কাজ একই হবে। আমরা শিখবো FileZilla দিয়ে কিভাবে ফাইল আপ করা যায়।


৩। আবার আমরা দুই ধরনের ফাইল আপ করতে পারি। ক) সকল ফাইল এক সাথে খ) ফাইল গুলো compressed করে। যদি আমরা ফাইল গুলা compressed করে আপ করি তাহলে আপ করার পর তা আবার un-compressed করতে হবে। আর যদি সকল ফাইল এক সাথে আপ করি তাহলে তা স্বাভাবিক ভাবেই হলো। তবে আমি compressed করে ফাইল আপ করতে বেশি পছন্দ করি। কারন তাতে সময় কম লাগে এবং ফাইল নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে না।


৪। জুমলার গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয় Database। এখন আমরা Local MySQL Database থেকে Host MySQL Database-এ কিভাবে Copy করতে হয় তা দেখবো।


) প্রথমে আমাদের phpMyAdmin (http://localhost/phpmyadmin) open করতে হবে।


) ডাটাবেজ টি সিলেক্ট করতে হবে।



) ডাটাবেজ-এর উপরের দিকে যে Export tab আছে তা ক্লিক করতে হবে।



) ডাটাবেজ-এর নাম দিতে হবে। না দিলেও হয়। Save as file -এ টিক দিয়ে (ছবির মত করে) Go button -এ ক্লিক করতে হবে।



) এখন একটি ডায়লগ বক্স আসবে আমরা কিভাবে *.sql ফাইলটি সংরক্ষন করবো। নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষন করতে হবে যাতে পরবর্তীতে তা মনে থাকে।



৫। এখন আমরা দেখব কিভাবে আমাদের সংরক্ষন কৃত *.sql ফাইলটি host server এর phpMyAdmin Import করতে হবে।


) প্রথমে আমাদের host server এর phpMyAdmin (http://webhost.com/phpMyAdmin) open করতে হবে।



) এখন Import tab Select করে আমাদের *.sql সংরক্ষন কৃত ফাইলটি এখানে browse ..... করে আপ করে দিতে হবে।



এখন আরেকটি খুব গুরত্বপূর্ণ কাজ বাকি আছে। সকল কিছু আপ করার পর আমাদের configuration.php ফাইলটি edit করতে হবে। এটি খুব গুরত্বপূর্ণ একটি ফাইল তাই খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যা করতে হবে তা ধারাবাহিক ভাবে বলছি ….....


১। যদি আমরা Windows XP localhost system এ কাজ করি তাহলে আমাদের configuration.php ফাইলটি দেখতে এমন হবে।

========

var $log_path = 'C:\\xampp\\htdocs\\joomla15\\logs';

var $tmp_path = 'C:\\xampp\\htdocs\\joomla15\\tmp';

var $live_site = '';

var $host = 'localhost';

var $user = 'root';

var $db = 'your_local_db_name';

var $password = 'your_local_db_password';

=========

২। এখন আমাদের remote host system এর configuration.php ফাইলটি ওপেন করতে হবে।

=========

var $log_path = '/var/www/public_html/dsolutionbd.com/home/html/logs';

var $tmp_path = '/var/www/public_html/dsolutionbd.com/home/html/tmp';

var $live_site = '';

var $host = 'name your remote host';

var $user = 'your_user_db_name';

var $db = 'your_db_name';

var $password = 'your_db_password';

========

এখানে একটি বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা যে $log_path,$tmp_path তা ঠিক আছে কিনা। তা সঠিক হলো কিনা তার জন্য আমরা remote host এর upload folder টি দেখে নিতে পারি।

Thursday, August 4, 2011

আধুনিক আদর্শ লিপি ও সরল বর্ণপরিচয়

আমার এখনও মনে আছে, আমরা ছোটবেলায় পড়তাম সতীনাথ বসাক এর “আদর্শ লিপি” বই। এখন খুব একটা দেখা যায় না এই বই গুলা। সেদিন বাংলাবাজার হাটতে হাটতে সামনে পরলো সেই বইটি। না কিনে পারলাম না। চট জলদি ২টি বই কিনে নিলাম। ১টা আমার সংগ্রহের ও ১টা আমার ছোট কাকাতো বোনের জন্য।


নতুন বেশ কিছু সংযোজিত হয়েছে, তারপরও অনেক মিল আছে। যেটা আমাদের সোনা-মনিদের খুব জানা দরকার তেমন কিছু কথা আছে।


= অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করো।
= আলস্য দোষের আকর।
= ইন্টারনেট বিজ্ঞানের চমক।
= ঈশ্বরকে বন্দনা করো।
= উগ্রভাব ভালো নয়।
= ঊর্ধ্বমুখে পথ চলো না।
= ঋষিবাক্য শিরোধার্য।
= একতা সুখের মূল।
= ঐশ্বর্য রক্ষা করা কঠিন।
= ওষধি ফল পাকলে মরে।
= ঔদার্য অতি মহৎ গুন।
= কটুবাক্য বলা অনুচিত।
= খলকে বিশ্বাস করো না।
= গর্ব করা ভালো নয়।
= ঘন মেঘে বৃষ্টি হয়।
= চন্দ্রকিরণ অতি স্নিগ্ধ।
= ছলনা করা বড় দোষ।
= জনক-জননী অতি পূজ্য।
= ঝগড়া করলে বিপদ ঘটে।
= টাকার অহংকার ভালো নয়।
= ঠকের বাক্য অবিশ্বাস্য।
= ডুমুর ফুল দেখা যায় না।
= ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী।
= তপস্বীরা বনে থাকেন।
= থপ থপ করে ব্যাঙ চলে।
= দরিদ্রকে অন্ন দান করো।
= ধর্মপথ অবলম্বন করো।
= নম্র হতে চেষ্টা করো।
= পন্ডিত লোক সভার প্রিয়।
= ফল দ্বারা বৃক্ষের পরিচয় হয়।
= বন্ধুর হিত করা কর্তব্য।
= ভগ্নোৎসাহ হইও না।
= মন দিয়ে বিদ্যাভ্যাস করো।
= যত্ন করলে রত্ন মিলে।
= রবির কিরণ অতি প্রখর।
= লম্ফ দিয়ে পথ চলিও না।
= শঠকে বিশ্বাস করো না।
= ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।
= সৎ পুত্র কুলের ভুষণ।
= হঠকারিতা বড় দোষ।
ক্ষ = ক্ষমা প্রদর্শন দেব ধর্ম।

Friday, July 1, 2011

History of my website (www.dsolutionbd.com)

আমার ব্লগ লেখা শুরু সেই ২০০৭ থেকে। গত কয়েক মাস যাবৎ ভাবছি নিজের একটা ওয়েবসাইট করবো। কিন্তু নানান ব্যস্ততার কারনে আজ করি - কাল করি করে করা হয়ে উঠছে না। মে'২০১১ মাসে চাকরি থেকে ইস্তফা দেবার পর মাথায় আরেকবার এই ভূতটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।

সেই ফেব্রুয়ারিতেই D Solution নামটি ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে নিজের নামে ট্রেড লাইসেন্স করে রেখেছিলাম। নামটি নির্বচন করার আগে আরো ২ টি নাম ঠিক করেছিলাম ক) Devgon Solution ) Digital Solution। সবশেষে আসলো D Solution

গত ২৬ জুন, ২০১১ তারিখ পুর্ব পরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে ডমেইন
(Domain) রেজিস্ট্রেশন করলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম নিজের প্রতিষ্ঠানের নামেই করি D Solution। কিন্তু dsolution.com নামটি না পাওয়ায় কিনতে হলো dsolutionbd.com
প্রথম থেকেই ঠিক করে ছিলাম হোস্টিং (Hosting) কিছুদিন পরে করবো। তাই এখন ফ্রী হোস্টিং এ সাইটটি আপ করা আছে। এখন ভালো করে সাইটটি ডিজাইন করে তারপর হোস্টিং করবো।

Sunday, June 12, 2011

How to block a particular website on my computer?

অনেকের বাসাতে কম্পিউটার তার ছোট ভাই বোনেরা ব্যবহার করেন থাকে। সেক্ষেত্রে তারা যাতে ক্ষতিকারক কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে উচিৎ।

যদি ISP (Internet Service Provider) সাইট লক করে না রাখে তা হলে সব সাইটই দেখতে পারবে। তবে খুব সহজেই আমরা চাইলে নিজস্ব কম্পিউটার থেকেও এটা বন্ধ করে দিতে পারি।

যা করতে হবেঃ-

১। Run এ গিয়ে (Start > Run) C:\Windows\System32\drivers\etc টাইপ করতে হবে।

২। Hosts ফাইলটি Notepad এ খুলতে হবে।Align Left

৩। ছবির মত করে লিখতে হবে।

127.0.0.1 www.facebook.com

127.0.0.1 www.youtube.com

৪। এখন ব্রাউজার খুলে এ সাইট দুটি আর ব্রাউজ হবেনা। লাইন দুটি মুছে দিলে আবার আগের মত স্বাভাবিক।

Tuesday, May 31, 2011

চাকরি ছাড়ার ইতিকথা

যেখানে যতদিন চাকরি করেছি নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে কাজ করেছি। নিজের চাইতেও অনেক সময় প্রতিষ্ঠানকে বেশি প্রাধান্ন দিয়েছি। আমি সবসময় কাজের সময় ও দায়িত্ব সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি।

এখন আসল কথায় আশা যাক। অঙ্কুরে কেন চাকরি করতে আসলাম তা অনেক আগের কথা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন ছাড়লাম? এর উত্তর বা কারন সব এখন বলা কষ্টকর বা বলতে চাইও না। তবে কয়েকটি কারন বলা যায়, বাকি গুলা অন্যকোন ভাবে পরর্বতীতে বলতে হবে। তেমনই কয়েকটি আজ বলছি …........

০১।
০২।
০৩।
০৪। চিত্রগুপ্ত হয়ে আর কত কালই বা থাকিব। প্রচলিত প্রবাদ আছে "যাহার জন্য করলাম চুরি সেই কয় চোর"
০৫। এখানে আমার প্রযোজন শেষ হয়ে আসিয়াছে। এখন আর বাপ্পী'র মত অলস কর্মকর্তার কোনই দরকার নাই।
০৬। নির্দেশ দাতাদের নির্দেশ পালনে অসমর্থা। তাহারা কি বলিতে চায় আমি ঠিক মত বুঝিতে পারছিনা।

০৭। অনেকে মনেকরে আমি থাকলে তার কাজে বাধা দিবো। তাই আমি নিজেই আলাদা হয়ে গেলাম।

০৮। মনের স্বাধীন ভাবে কাজ করিতে পারছিনা।কাজে স্বাধীনতা না থাকলে কাজ করে ভালো লাগে না।

০৯। বর্তমান অফিস নিয়ম-কানুন ভালো লাগছে না।

১০। অনেকদিন তো গত হইলো এ প্রতিষ্ঠানে আর কত। আমি গেলে নতুন একজন আসিবে। নতুনরা সুযোগ পাইবে।

প্রথম যোগদানের সময় অঙ্কুরে থাকবো ভেবেছিলাম ১ বছর। সেখানে প্রায় ২ বছর চলে গেলো। তবে আরো কিছুদিন থাকার ইচ্ছা ছিল। ছোটকাল থেকেই নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে আমার বেশ কষ্ট হয়। আবার যাকে ভালো লাগে তার সাথে অনেক দিন / আজীবন সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করি।

নতুন একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। এখন তার পিছনে ছুটলাম। এখন বিষয় ভাগ্য আমাকে কোন দিকে নিয়ে যায় সেটাই দেখার বিষয়।

Thursday, May 5, 2011

First Step of my Dream

ভাগ্য বড়ই উদাসীন ….............

কিছুটা প্রথম থেকে শুরু করছি। যখন বুঝতে শিখলাম মানে আমাকে বেচে থাকার জন্য কিছু একটা করতে হবে। কি করবো? কি করবো? কি করবো? আমার প্রথম পছন্দ নিজে কিছু করা। মানে স্বাধীন ভাবে কিছু করা। তার জন্য দরকার সামর্থ্য। কিন্তু আমি তো কিছুই পারি না!!!!!

জন্ম গত ভাবে আমার টেকনিকেল কাজের প্রতি আগ্রহ অনেক। কিভাবে যেন একা একা রেডিও, টিভি, বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি ঠিক করতে পারতাম। পরিবারে সবাই ভাবল ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবো। ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই আমার কাছে নেই। তারপর কেটে গেল অনেক বছর........

আমার পরিবারে আমিই প্রথম চাকরি করি। আমার ঠাকুর দাদা (বাবার বাবা) কিছুদিন খুলনার খালিসপুরে অবস্থিত পিউপিল'স জুট মিলে (People's Jute Mills) চাকরি করেছেন। আর আমার চাকরির মেয়াদ ৭ বছর।

আমার প্রথম চাকরি জীবন শুরু আমার এক কম্পিউটার শিক্ষকের হাত ধরে। যার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। প্রথম চাকরি ছেড়ে দেবার পর থেকেই মাথায় শুধু একটা স্বপ্ন একসময় একজন বড় ব্যবসায়ী হবার। আমাকে হতেই হবে। আমার সৌভাগ্য এখন পর্যন্ত যত গুলা চাকরি করেছি তার প্রতিটিই ছিল ম্যানেজমেন্টের বা Boss দের খুব কাছ থেকে দেখার সুজোগ।

একটি কথা এখন খুব মনে পরছে। আমার প্রথম চাকরি যেখানে করতাম সেখান কার এমডি মিঃ রবিন স্যার বলেছিলেন, “ ... তুমি তোমার রুমে বসে যদি বলতে পারো ক্লাস রুমের কোন কম্পিউটারে কি সমস্যা তাহলে সেদিন বুঝতে পারবে তুমি তোমার কাজে মনযোগী আছ।”

আমার এক শিক্ষক বলতেন, “ .... এই পৃথিবী থেকে যতটুকু সেবা তুমি নিবে তার চেয়ে বেশি কিছু দেবার চেষ্টা করিও। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম তোমাকে দোষারোপ করতে না পারে।”

আমি ২০০৬ সালটা কাটাই গাজীপুরের একটা টেক্সটাইল মিলে। সেখানে চাকরি করার সময় আমাদের যে পরিচালক (প্রতিষ্ঠানের মালিক)। মিঃ সাহা স্যার বলতেন “ ..... তুমি যদি ভাল মালিক হতে চাও আগে অফিসের দারোয়ান হতে শুরু করে উপর মহল (Top label) পর্যন্ত কার কি কাজ তা ভালো ভাবে জানতে ও শিখতে হবে। তাহলে তোমার অফিসে কে কোথায় কিভাবে কাজে ফাকি দিচ্ছে বা দিতে পারে তা তুমি সহজে ধরতে পারবে।”

আপনাদের কারো কথা ভুলিনি জনাব :):):)। এখন সময় এসেছে নিজে কিছু করার।স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য কাজ করতে হবে। এখন সেই পথ ধরে হাঁটছি। যারা আমার সহযোদ্ধা তাদের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা । যারা আমাকে ভালবাসেন তাদের কাছে আশির্বাদ চাই আর যারা আমাকে ঘৃণা বা অপছন্দ করেন তাদের জন্য আমার শুভ কামনা।

Sunday, April 24, 2011

Change Joomla Template

অনেকদিন পরে ...........

পূর্বের ধারাবাহিক{Part-3}

আজ আমরা শিখবো কিভাবে জুমলাতে টেমপ্লেট পরিবর্তন করতে হয়। এটা খুবই সহজ একটা কাজ। আমার কাছে মনে হয় যারা জুমলা ইনস্টল করতে পারেন তাদের কাছে কোন ব্যাপার না।

১। আমাদের প্রথমে ইন্টারনেট থেকে পছন্দ মত টেমপ্লেট ডাউনলোড করে নিতে হবে। এবং সুবিধা মত একটি স্থানে রাখতে হবে।


২। তারপর আমাদের WampServer চালু করতে হবে।


৩। এখন আমাদের Localhost এ লগ ইন করতে হবে।

৪। আমরা এখন Extensions & Install / Uninstall তারপর Package File Brows … করে (টেমপ্লেট টি নির্বাচন করে) Upload File & Install। টেমপ্লেট টি ইনস্টল হয়ে গেল।



৫। এখন আমরা সর্বশেষ কাজটি করবো। Extensions & Template Manager এ গিয়ে টেমপ্লেট টি নির্বাচন করে Default button এ ক্লিক করেতে হবে।



এখন Preview দেখেন আপনার পছন্দ মত টেমপ্লেট টি আপনার Web Site এর জন্য নির্বাচিত হয়ে গেল।



Thursday, April 14, 2011

শুভ নববর্ষ ১৪১৮

নিসি যখন ভোর হবে, সব তারা গুলো নিভে যাবে। আসবে একটা নতুন দিন। দিনটা হোক অমলিন, শুভ হোক তোমার প্রতি দিন।


শুভ নববর্ষ ১৪১৮। সবাইকে শুভেচ্ছা

Tuesday, April 12, 2011

Mental Satisfaction !!!!!!

পৃথিবীতে যত রকম জীব আছে তার মধ্যে মানুষের মন জয় করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। তাদের চাহিদাও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। সৃষ্টিকর্তা নিজেও হয়তো অনেক সময় হিমসিম খান আমাদের চাহিদা পুরন করতে।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন, “জীবনকে যেভাবে বলি দেবে, নিশ্চয় তেমনতর জীবন লাভ করবে। একটা চাইতে গিয়ে দশটা চেয়ে ব'সো না। একেরই যাতে চরম হয় তাই কর। সবগুলিই রক্ষা পাবে” অন্যান্য ধর্মেও এমন ভাবে বলা আছে, “মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি।” So No Tension ...........

যখন ছাত্র ছিলাম তখন ভাবতাম পরিক্ষায় কিভাবে পাশ করবো। পাশ করলাম, এখন একটা চাকরি দরকার। চাকরিও পেলাম, এখন একটা ভালো চাকরি দরকার। ভালো চাকরিও পেলাম, করলাম খেলাম। এখন একটা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করাতে চাই, যার স্বত্ত্বাধিকারী / অংশিদার আমি।

তারপর ..............

Tuesday, January 18, 2011

BASIS SoftExpo and Me

বেসিস ২০০৩ সাল থেকে SoftExpo শুরু করে। আর আমি ২০০৫ সাল থেকে। অনেক দিন আগের কথা .......

সাল ২০০৫, তখন ইনফোবেজ থেকে চাকরি ছেড়ে আমরা (আমি, রাজন, মাহে স্যার) খাই-দাই-ঘুরি। যদিও এখন সঠিক দিন তারিখ মনে নাই তবে দৈনিক প্রথম আলো -তে আমাদের ছবি ছাপা হয়েছিল। তখন অঙ্কুর, বাওস, একুশে ইত্যাদি সংগঠনের সাথে পরিচিত হই। পরিচিত হই জামিল ভাই, অমি ভাই, মনির ভাই, মামুন ভাই, রবিন ভাই সহ অনেকের সাথে।


ছবিঃ- ছবিতে আমি ভিতরে ও রাজন দর্শকদের সাথে কথা বলছে।

সাল ২০০৭, তখন আমি টাইগার আটিতে। আবার SoftExpo। আমি একা একা একটা কম্পিউটার নিয়ে ৪-৫ দিন কাটালাম। তখন কি এক বিশেষ কারনে অফিসের বেশির ভাগ লোকই ব্যস্ত। আমিও নতুন যোগ দিয়েছি টাইগার আটিতে। সারদিন একটা প্রেজেনটেশন চলতো কম্পিউটারে আর আমি বসে থাকতাম। মূলত পরিচিত লোকজনই আসতো সেই স্টলে। তবে বেশি বিরক্ত হতাম সাধারন দর্শক যারাই আসতো তাদের অনেকের ধারনা এটা বাংলালিংক এর কোন স্টল কিনা। কারন টাইগার আটির অফিসিয়াল লগো অনেকটা বাংলালিংক এর লগোর মতে। আর তখন বাংলালিংক নতুন বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছিলো।

সাল ২০০৮, টাইগার আটি থেকে ২য় বার SoftExpo তে অংশগ্রহন করি। এইবার ছিল অনেক জাকজোমক একটা স্টল। আমরা তখন জাতীয় পরিচয় পত্রের সফ্টওয়ার নিয়ে কাজ করে ছিলাম। তাই এটা পরিবেশন করা আমাদের একটা বিশাল দায়িত্ব ছিল। তখন আমার সাথে আরো ২ জন (অসিম ভাই ও ??? ) ছিলো।

সাল ২০১০, অঙ্কুরের প্রথম SoftExpo। যদিও এইবার আমি খুব একটা সময় থাকি নাই। তবে নাহিদ ভাই নামে একজন আমাদের অফিসে ছিলো। তিনই সব দায়িত্বে ছিলেন। আর আমি অন্যান্য দায়িত্বে ছিলাম।


ছবিঃ- ২০১০ এর অঙ্কুরের স্টল

সাল ২০১১, অঙ্কুরের ২য় SoftExpo। নাহিদ ভাই নাই স্টলের দায়িত্ব আমার উপর। সকলকে আমাদের স্টলে আসার আমন্ত্রন জানাই। ফেব্রুয়ারির ০১ থেকে ০৫,২০১১ তারিখ পর্যন্ত চলবে SoftEexpo2011। স্থান: বঙ্গবন্ধু আন্তর্যাতিক কনভেন সেন্টার, আগারগাও।