পূর্বের লেখার ধারাবাহিকতা অনুসারে। গত পর্বে আমরা ২টি “সি” সর্ম্পকে জেনেছি। এখন আমরা বাকি ৩টি “সি” সর্ম্পকে শিখব।
* Cutting: কাট (Cut) এর আভিধানিক অর্থ কাটা বা কর্তন করা। চলচ্চিত্রে কাটিং এর গুরত্ব অনেক। আমরা ৯ রকম এর কাটিং নিয়ে আলোচনা করবো।
ক) Jump Cut: একটি শট থেকে পরবর্তী শটে যেতে হলে ক্যামেরা কোন ও শটের আকার পরিবর্তন করতে হবে। কমপক্ষে ৪৫ ডিগ্রি কোনে পরিবর্তন করা উচিৎ।
খ) Match Cut: প্রথম দৃশ্যের শেষ অংশ ও দ্বিতীয় দৃশের প্রথম অংশ এক হবে। এতে এডিটিং-এ কাজ করতে সুবিধা হবে।
গ) Sharp Cut: এটা Match Cut এর বিপরীত। অর্থাৎ প্রথম দৃশ্যের শেষ অ্যাকশন ও দ্বিতীয় দৃশ্যের প্রথম অ্যাকশন বাদ দিতে হবে।
ঘ) Cross Cut: যখন একই সময়ে দুটি আলাদা জায়গায় দুটি ঘটনা ঘটে। প্রথমে একটি পরে দ্বিতীয়টি তারপর আবার প্রথম শট এভাবে পর পর দেখান হয় তখন তাকে Cross Cut বলে।
ঙ) Parallel Action Cut: যদি একই দৃশ্যে পাশাপাশি দুটি অ্যাকশন একের পর এক চলতে থাকে, তখন তাকে Parallel Action বলে।
চ) Mix: প্রথম দৃশ্যটি পর্দা থেকে ধীরে ধীরে সম্পূর্ন মুছে যেতে না যেতেই দ্বিতীয় দৃশ্যটি পর্দায় দেখা যাবে, এমন দৃশ্যকে Mix বলে।
ছ) Fade In/Out: প্রথম দৃশ্যটি পর্দা থেকে ধীরে ধীরে সম্পূর্ন মুছে যাবে তারপর কিছুক্ষন অন্ধকার দেখা যাবে তারপর দ্বিতীয় দৃশ্যটি পর্দায় ধীরে ধীরে দেখা যাবে, এমন দৃশ্যকে Fade In/Out বলে।
জ) Super Imposition: পর্দায় একই সাথে দুটি দৃশ্য দেখা যাওয়া কে Super Imposition বলে।
ঝ) Wipe: একটি দৃশ্য শেষ হওয়ার পর দেখা যাবে দৃশ্যটি রোলার-এর মত গুটিয়ে যাবে এবং এর নিচ থেকে আরেকটি দৃশ্য ভেসে উঠলো, এমন দৃশ্যকে Wipe বলে।
* Close Up: Close up shot চলচ্চিত্রে এক অসাধারন ভাব প্রকাশ করে। ১৯১১ সালে পরিচালক ডি, ডাবলু, গ্রিফিথ “Enoch Arden” সিনেমায় প্রথম শটের ব্যাবহার করেন। তখন এটা একটি হাসির বিষয় হয়ে দাড়িয়ে ছিল। কিন্তু বর্তমান চলচ্চিত্রে Close up shot ব্যতিত কোন নাটক বা চলচ্চিত্র ভাবাই যায় না। ক্লোজ আপকে মোট মূলত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়ছে।
ক) Medium Close Up: নাভির উপর থেকে মাথা পর্যন্ত শটকে Medium Close Up Shot বলে। শুধু Close Up Shot বলতেও এটাকে বুঝানো হয়।
খ) Head & Shoulder Close Up: যে শটে মাথা ও কাঁধের সম্পূর্ন অংশকে দেখা যায় তাকে Head & Solder Close Up বলে।
গ) Head Close Up: যে শটে শুধু মাথা দেখা যায় তাকে Head Close Up শট বলে। তবে কাঁধের কিছু অংশ দেখা যেতে পারে।
ঘ) Big Close Shot: ঠোঁটের নিচ থেকে চোখের ভ্রুর উপর পর্যন্ত থাকলে তাকে Big Close Shot বলে।
ঙ) Extreme Close Shot: শুধু কান, শুধু চোখ, শুধু নাক ইত্যাদি যে শটে দেখা যায় তাকে Extreme Close Shot বলে।
তাছাড়াও আরো এক রকম শট আমরা বলতে পারি।
1. Over the Shoulder Close Up: একজনের কাঁধের উপর দিয়ে অন্যজনের ক্লোজ আপ নেয়া কে Over the Shoulder Close Up বলে।
* Composition: Composition বলতে সহজে যা বুঝি তা হলো, ফ্রেমের মধ্যে যে উপাদান গুলো আছে সেগুলোকে সুসামঞ্জস্য করে সাজানো। এটার উপরই নির্ভর করবে দর্শক কি দেখবে বা কিভাবে দেখবে।
ক) Rule of Third: এই নিয়ম অনুসারে ফ্রেমে সমান্তরাল ও খাড়া খাড়ি কাল্পনিক রেখা টানতে হবে। যার ফলে ৪ টা বিন্দুর সংযোগ স্থলের সৃষ্টি হবে। এখন ফ্রেমের মূল উপাদান গুলো এই বিন্দুর কাছাকাছি বা বিন্দুর বরাবর থাকবে।
খ) Looking Room: এই নিয়ম অনুসারে চরিত্রটি যেদিকে তাকিয়ে আছে ফ্রেমের সেই দিকে সবসময় বেশি জায়গা রাখতে হবে।
গ) Leading Room: এই নিয়ম অনুসারে চরিত্রটি/ কোন বস্তু যেদিকে ছুটে চলছে ফ্রেমের সেই দিকে বেশি জায়গা রাখতে হবে।
ঘ) Leading Line: কম্পোজিশনের মূল উপাদানের দিকে বা মূল উপাদান থেকে কোনাকোনি একটি কাল্পনিক লাইন টানতে হবে।
ঙ) Head Room: এই নিয়ম অনুসারে মাথার উপরে সবসময় কিছু জায়গা ফাকা থাকবে।
চ) Balance: দুটি চরিত্র পাশাপাশি রাখলে যেন ফ্রেমে একটা ভারসাম্য থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
ছ) Colour Balance: কাহিনির মূল উপাদানটির রং যেন সবসময় স্বাভাবিক থাকে সেইদিকে নজর রাখতে হবে।
জ) Frame with in Frame: কোন সাধারন দৃশ্যকে অসাধারন করে তুলতে অনেক সময় ফ্রেমের মধ্যে ফ্রেম করে দেখান যায়।
ঝ) Background: সবসময় পটভূমি বা Background এর প্রতি নজর রাখতে হবে। কোন প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় (যেমন: লেখা, লোকজন, গাছ-পালা) যাতে ফ্রেমে না ধরা পরে।
এই পাঁচটি বিষয় প্রতিটি সকল চিত্রগ্রাহক ও পরিচালকে সবসময় মনে রাখতে পারে। একটির সাথে আরেকটির ধারাবাহিক সম্পর্ক আছে। একটি কাহিনি কে সুন্দর ভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপন কারার মাধ্যমে একজন দক্ষ চিত্রগ্রাহক ও পরিচালকের পরিচয় পাওয়া যায়।
Your site is very good. There are useful information and most importantly, for sharing great. you have posted.
ReplyDelete