যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, গোত্র মানতে হয় কেন?
তার উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছিলেন, “প্রতিটি গোত্রই স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্যে বিশেষ। এক-একটি গোত্র তার Culture, Creed, Character, Conduct (সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাস, চরিত্র, আচরণ) বহুযুগ ধ’রে নানাভাবে Achieve (অধিগত) করেছে। এই গোত্রধারা কখনও নষ্ট করতে নেই। গোত্র ভাঙ্গলে সৰ্ব্বনাশ। সেইজন্য ভিন্ন গোত্র দেখে বিয়ে দিতে হয়। বিভিন্ন গোত্রের Male and Female-এর (স্ত্রী ও পুরুষের) যখন Proper Combination (উপযুক্ত মিলন) হয় তখন গোত্র ও বংশের গুণগত বৈশিষ্ট্যগুলি সন্তান-সন্ততির মধ্যে Dominant (প্রধান) হয়ে ওঠে। আর, Combination (মিলন) ঠিকমত না’ হলেই ওগুলি Recessive (হ্রাসমুখী) হয়ে ওঠে। সেইজন্য সদৃশ বংশে বিয়ে হওয়া ভাল। সেটা হ’ল First Class Marriage (প্রথম শ্রেণীর বিবাহ)। আর, অনুলোম হ’ল Second Class Marriage (দ্বিতীয় শ্রেণীর বিবাহ)। অনুলোম বিবাহের ক্ষেত্রেও ঐ ভিন্ন গোত্র-প্রবর এসব ঠিক রেখে করবে। কিন্তু প্রতিলোম যেন কখনও না হয়। তোমার একটা মেয়েকে যদি কায়স্থ বা বৈশ্যের সাথে বিয়ে দাও তাহ’লে কিন্তু একেবারে সব Murder (নিকেশ)। কারণ, ওর ফলে সব গুণগুলি Recessive (হ্রাসমুখী) হ’য়ে যায়।
দীপ রক্ষী, ৫ তাং - ১৪.৮.১৯৫৯ ইং
গত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে লিখেছিলাম “বাঙ্গালী হিন্দুদের জাতিভেদ ও পদবী সমূহ” তারই ধারাবাহিক হিসাবে আজ “গোত্র” বিষয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করছি। শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা মত আমাদের নিজ গোত্র জানা ও তা মানা কতটা জরুরী ও প্রয়জনীয়।
সাধারন ভাষায় বলতে গেলো গোত্র শব্দের অর্থ বংশ বা গোষ্ঠীকে বোঝায়। সনাতন ধর্মে গোত্র মানে একই পিতার ঔরসজাত সন্তান-সন্ততিদের দ্বারা সৃষ্ট বংশ পরম্পরা। কিন্তু গোত্র দ্বারা কখনো কখনো অঞ্চল এবং বিশেষ চিহ্নও নির্দেশ করতে দেখা যায়। বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে, একটি বংশের রক্ত প্রবাহিত হয় তাদের পুরুষ পরম্পরায়। সূতরাং, বংশের রক্তের ধারক ও বাহক হলো পুরুষ। সনাতন ধর্মের বংশ রক্ষার ধারায় ছিলেন প্রথম সত্য যুগের শুরুতে ব্রহ্মার মানস সন্তানদের মধ্যে অন্যতম ঋষিগণ। পরবর্তীতে অন্যান্য ঋষির বংশ পরম্পরাও পরিলক্ষত হয়।
এই একেকজন ঋষির বংশ পরম্পরা তাদের নামে এক একটি গোত্র হিসেবে পরিচিত লাভ করে। সে হিসেবে একই গোত্রের বংশীয়গণ পরস্পর ভাইবোন। এমনকি একই বংশের স্বজনেরা পরবর্তীতে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে, সাধন-ভজন, পরমেশ্বর ভগবানের বাণী প্রচারের প্রয়োজনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লে পিতার নামের সাথে গোত্র নামের গুরুত্ব প্রকাশ পায়। যেমন- কাশ্যপ মুনির বংশধরেরা নিজেদের “কাশ্যপ গোত্রস্য” বা কাশ্যপ মুনির বংশ পরিচয় দিয়ে থাকেন।
এভাবে পর্যায়ক্রমে আরো অনেক গোত্রের নাম পাওয়া যায়। সনাতন ধর্মে প্রকট আছে বা অহরহ যেসব গোত্র দেখা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবো। একই গোত্রের লোকজনকে সমগোত্রীয় বলা হয়। সোজা কথা এরা পরস্পর নিকট-আত্মীয়। আর অন্যান্য গোত্রের লোকজনের সাথে তারা পরস্পর আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ এই কারণে যে, আমরা সবাই প্রপিতামহ ব্রহ্মা থেকে এসেছি যদিও আমাদের আদি পিতা-মাতা যথাক্রমে মনু ও শতরূপা।
সমগোত্র মানে একই পিতৃবংশ। যেমন কাশ্যপ গোত্র। মুনি কশ্যপ ঋষির বংশধর। ব্রহ্মার মানস পুত্রগণের থেকে আগত প্রতিটি বংশ এক একটি গোত্র বা রক্তের ধারায় প্রবাহিত। একই গোত্র চারটি বর্ণে থাকতেও দেখা যায়। কারণ, একই ঋষির সন্তানরা একেক সময়ে একেক কাজে মনোযোগী হয়ে থাকে। যে শাস্ত্র অধ্যয়ণ বা বুদ্ধিভিত্তিক (আধুনিক সমাজে যাকে বুদ্ধিজীবী বলা হয়) জীবিকা অবলম্বন করে সে ব্রাহ্মণ হিসেবে, রাজধর্ম পালনকারী ক্ষত্রিয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে মনোযোগী হলে সে বৈশ্য আর এসব পেশাগত লোকদের সেবা করেই সন্তুষ্ট অর্জনে আগ্রহীরা শূদ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে থাকে। এ গুণাবলীসমূহ কেউ জন্মে প্রাপ্ত হয় না, অর্জন করতে হয়। তাই বর্নাশ্রম সঠিক কিন্তু বর্ণপ্রথা ভুল ও মিথ্যা যা ক্ষত্রিয় ধর্ম পালনে পুরোপুরি অপারগ রাজা বল্লাল সেন তার রাজ-অপকর্ম ঢাকতে শুরু করেছেন। ধার্মিক ও পন্ডিতদের অত্যাচার করে রাজ্য থেকে বিতারিত করে। আর এটা পুরোপুরি কার্যকর করেছেন তারই পুত্র রাজা লক্ষ্মণ সেন।
সনাতন ধর্মে নিকটাত্মীয় বা সমগোত্রে বিবাহ নিষিদ্ধ। কারণ হিসেবে বৈদিক শাস্ত্রসমূহ বিশেষ করে মনুসংহিতায় বলা হচ্ছে, একই রক্তের সম্পর্কের কারো সাথে বিবাহ হলে সন্তান বিকলাঙ্গ, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী, মেধা ও বুদ্ধিহীন হয়। শিশু নানা রোগে জরাজীর্ণ হয়ে থাকে। তবে একান্তই প্রয়োজন হলে/ পাত্র-পাত্রী না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে ১৪ পুরুষ পেরিয়ে গেলে তখন বিবাহ করা যেতে পারে। তবে তা যথাসম্ভব এড়িয়ে চললেই ভালো।
বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানও এটি স্বীকার করেছে। তারা বলছেন, নিকটাত্মীয়দের মধ্যে বিয়ের পরিণামে যে সন্তান হয়, তার মধ্যে জন্মগত ত্রুটি দেখা দেয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। “The Lancet” (দ্য ল্যানসেট) সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। “First cousin marriage doubles risk of birth defects in children”। বিস্তারিত
সনাতন ধর্মের প্রচলিত কিছু গোত্র ও বিস্তারিত। যারা যেই ঋষির বংশধর তারাই সেই গোত্র।
· অগস্ত্যঃ- দেবতা মিত্রবরুণ ঔরসে ও উর্বশীর গর্ভে অগ্যস্ত ঋষির জন্ম। পুরানমতে অগ্যস্ত ঋষি একবার সমুদ্রপান করেছিলেন। ভগবান শ্রীরামচন্দ্র বনবাস কালে অগ্যস্ত ঋষির আশ্রমে থেকে অক্ষয়তূণীরদ্বয়, বৈষ্ণবধনু ও মহাস্ত্র প্রাপ্ত হয়েছিলেন। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- জৈমিনী ও দধিচী।
· অত্রিঃ- অত্রি ঋষি ছিলেন ব্রহ্মার মানস পুত্র ও সপ্তঋষির অন্যতম। ঋষি অত্রি ও মাতা অনুসূয়ার পুত্রদয় হলেন, মহর্ষি দুর্বাসা, সোম ও ভগবান দত্তাত্রেয় ত্রিনাথ। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- আত্রেয় ও শাতাতপ।
· আত্রঃ- আত্র ঋষির বংশধরা ভারতবর্ষে আয়ুর্বেদের বহু ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- শাতাতপ ও শাঙখ্য।
· আলিমান / আলম্ব্যায়নঃ- আলম্যান ঋষি ছিলেন একজন বৈদিক ঋষি। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- শাঙ্কায়ন ও শাক্টায়ণ।
· আঙ্গিরসঃ- ঋষি আঙ্গিরস ছিলেন সপ্তঋষির একজন ঋষি অঙ্গিরার পুত্র। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- বশিষ্ঠ ও বার্হস্পত্য।
· কাণ্বঃ- কাণ্ব ঋষি ছিলেন পুরুবংশীয় প্রতিরথের পুত্র। তারই পুত্র মেধাতিথি ঋগবেদ গ্রন্থ প্রণয়ন করে ব্রাহ্মনত্ব লাভ করেছিলেন। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- অশ্বথ ও দেবল।
· কাত্যায়নী / কাত্যায়ণঃ- ঋষি কাত্যায়ণের বংশধরদের বলা হয় কাত্যায়ণ গোত্র। রামায়নে কাত্যায়ণ ঋষির বর্ননা পাওয়া যায়। তিনি বেদের অনুক্রমকার রচয়িতা ছিলেন। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- অত্রি, ভৃগু ও বশিষ্ঠ।
· কাশ্যপঃ- ব্রহ্মা পুত্র মরিচী ঔরসে ও মাতা কলার গর্ভে জন্মগ্রহন করেন ঋষি কাশ্যপ। কাশ্যপ ঋষি দক্ষ প্রজাপতির ১৩ কন্যা বিবাহ করেন। তিনি ছিলেন দেবদৈবত্যাদির জন্মদাতা। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- অপ্সার ও নৈধ্রুব।
· কুশিকঃ- কুশিক ঋষি ছিলেন সোমবংশীয় নরপতি কুশের অন্যতম পুত্র। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- কৌশিক ও বিশ্বামিত্র।
· কৌন্তল্যঃ- স্কন্দপুরানে কৌন্তল্য ঋষির বর্ণনা পাওয়া যায়। ঋষি কৌন্তল্য বংশধরদের কৌন্ডল্য গোত্র বলা হয়। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- স্তিমিক ও কৌৎস্য।
· কৌশিকঃ- রামায়নে এই ঋষির উল্লেখ পাওয়া যায়। কৌশিক ঋষির বংশধররাই এই গোত্র বলা হয়। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- অত্রি ও জামদগ্ন্য।
· কৃষ্ণাত্রেয়ঃ- হরিবংশ পুরানে এই মহর্ষির উল্লেখ পাওয়া যায়। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- আত্রেয় ও আবাস।
· গর্গঃ- গর্গ ঋষি ছিলেন একজন জ্যোতির্বিদ ও যাদববংশের কুলগুরু। তার পুত্রী ছিলেন গার্গীসংহিতার রচয়িতা। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- গার্গ্য, মান্ডব্য ও কৌস্তভ।
· গৌতমঃ- গোতম ঋষির পুত্র ছিলেন ঋষি গৌতম। তিনি গৌতমসংহিতা রচনা করেছিলেন। রামায়নে আমরা গৌতম ঋষি ও অহল্যার কাহিনী পড়েছি। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- আঙ্গিরস, বার্হস্পত্য, অপ্সার ও নৈধ্রুব।
· ঘৃতকৌশিকঃ- ঋষি ঘৃতকৌশিক ছিলেন কৌশিক ঋষির পুত্র। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- কুশিক ও কৌশিক।
· চান্দ্রায়ণঃ-
· জাতুকর্ণঃ- জাতুকর্ণ ঋষি ছিলেন ঋষি আত্রেয় এর প্রধান শিষ্য। তিনি একটি দুস্প্রাপ্য আয়ুর্বেদ শাস্ত্র রচনা করেছিলেন। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- বশিষ্ঠ ও অত্রি।
· জামদগ্ন্যঃ- ঋষি জামদগ্ন্য ছিলেন ভগবান পরশুরামের ভ্রাতা। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- জমদগ্ন্যি, বশিষ্ঠ ও ঔর্ব্ব।
· ধনন্বন্তরি / ধন্বন্তরীঃ- সমুদ্র মন্থনের সময় এই ঋষির উৎপত্তি হয়। ঋষি ধন্বন্তরী ছিলেন একজন সুচিকিৎসক। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- গৌতম, অপসার, আঙ্গিরস, বার্হস্পত্য ও নৈধ্রুব।
· নাগঋষিঃ-
· পরাশরঃ- ঋষি পরাশর ছিলেন বশিষ্ঠ মুনির পৌত্র। তিনি ঋষি পুল্যস্তের কাছে বিষুপুরান শ্রবন করে ও মুনি মৈত্রেয় কাছে তা বর্ণনা করতেন। ঋষি পরাশর পুত্র ছিলেন মহাভারত রচয়িতা বেদব্যাস। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- বশিষ্ঠ ও শান্ত্রি।
· বশিষ্টঃ-
· বাঘ্র ঋষিঃ-
· বাৎস্যঃ- বাৎস্য ঋষি ছিলেন ভৃগুবংশীয় হরির পুত্র ও সাবর্নী মুনির ভ্রাতা। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- ঔর্ব্ব, চ্যবন, ভার্গব, জামদগ্ন্য ও আপ্লুবৎ।
· বিষ্ণুঃ- বিষ্ণু ঋষির বংশধররাই এই গোত্রের অধিকারি। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- বুদ্ধি ও কৌরব।
· বিশ্বামিত্রঃ-
· বৃদ্ধিঃ- ঋষি বৃদ্ধির পরবর্তী বংশধরদের বলা হয় বৃদ্ধি গোত্র। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- কুরু, আঙ্গিরস ও বার্হস্পত্য।
· বৃহস্পতিঃ- দেবগুরু বৃহস্পতির বংশধরদের বলা হয় বৃহস্পতি গোত্র। ঋষি বৃহস্পতি ছিলেন ব্রহ্মা ও অঙ্গিরা পুত্র। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- কপিল ও পর্ব্বন।
· ভরদ্বাজঃ- দেবগুরু বৃহস্পতির পুত্র ঋষি ভরদ্বাজ। কথিত আছে হিমালয় দর্শনে গিয়ে অপ্সরা ঘৃতাচীর প্রেমে পরেন। তার পুত্র ছিলেন রথী আচার্য্য দ্রোণ।এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- আঙ্গিরস ও বার্হ্যস্পত্য।
· ভার্গবঃ-
· মৌদগল্যঃ- চন্দ্রবংশীয় হর্য্যাশ্বের পুত্র মুদগল থেকে তার উৎপত্তি। গুরু কৃপাচার্য ছিলেন এই গোত্রের। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- ঔর্ব্ব, চ্যবন, ভার্গব, জামদগ্ন্য ও আপ্লুবৎ।
· শক্তিঃ- ঋষি ছিলেন অঙ্গীরা বংশীয় একজন মহান ঋষি। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- বশিষ্ঠ ও পরাশর।
· শিবঃ- ভগবান শিবের কন্ঠ হতে সৃষ্ট শিব ঋষি। নাথ ও দেবনাথ যোগিদের বলা হয় শিব গোত্র। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- শম্ভু, সরোজ, ভূধর ও আপ্লবৎ।
· শান্ডিল্যঃ- ঋষি শান্ডিল্য ছিলেন ব্রহ্মাপুত্র প্রচেতার পৌত্র। শান্ডিল্য ঋষিই ভক্তি সূত্রের প্রনেতা তাই তাকে ভক্তিমার্গের পথ প্রদর্শক বলা হয়। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- আসিত ও দেবল।
· শুনকঃ- শুনক ঋষি ছিলেন মুনি ঔর্ব্বের পৌত্র। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- শৌনক ও গৃৎসমদ।
· সাবর্ণঃ- সাবর্ণ ঋষি ছিলেন ভৃগুবংশীয় হরির পুত্র, নৈমিষ্যারণ্য নিবাসী এক মহাতপস্বী। তারই পর্থনায় বায়ুদেব পুরানকথা কীর্তন করতেন। এই গোত্রের অন্যান্ন প্রবর ঋষিরা হলো- ঔর্ব্ব, চ্যবন, ভার্গব, জামদগ্ন্য ও আপ্লুবৎ।
· হোবি ঋষিঃ-
বিঃদ্রঃ তথ্যগুলো সংগ্রহীত তাই কোন ভুল থাকলে আমাকে জানাবেন সংশোধন করে দিবো।
তথ্যসূত্রঃ গোত্র
No comments:
Post a Comment