The Web This Blog

Sunday, November 7, 2010

তুলা রাশির বৈশিষ্ট্য




১২ ই আশ্বিন (৩০ শে সেপ্টেম্বর) জন্মগ্রহণ করায় জন্মগত কারনে আমি তুলা রাশির জাতক। তাই আমার বেশির ভাগ মানবিক ও শারীরিক বৈশিষ্ট্য জন্মগত বাকিটা আমার প্রকৃতি থেকে নেয়া বা শিখা। তেমন কিছু বৈশিষ্ট্য আমি আজ উল্লেখ করছি। আপনি ও যদি তুলা রাশির জাতক হয়ে থাকেন তাহলে দেখুন কোন বৈশিষ্ট্য গুলো আপনার সাথে মিলে।

ভালোবাসা এবং তুলা শব্দদুটো প্রায়োগিক অর্থে প্রায় সমার্থক। তুলাই ভালোবাসাকে জন্ম দিয়েছে এবং এটাকে এতোটাই পরিশুদ্ধ করেছে যে সেটা শৈল্পিক পর্যায়ে চলে গিয়েছে। প্রেমের দেবতা মদন (কিউপিড) -এর রুচিশীল কৌশলগুলো তুলাদের মধ্যে জন্মগতভাবেই বিদ্যমান। তারা খাপছাড়া ভাবে যেকোন কৌশলই এতো সহজে প্রয়োগ করবে যে মেয়েগুলো সে ফাঁদে পা দেবেই। অবশ্য একবার মেয়েটিকে অর্জনের পর সে বুঝতে পারে না মেয়েটিকে নিয়ে এখন কী করবে। নিজের যাদু দিয়ে মেয়েটিকে সম্পূর্ণভাবে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করাবার পর সে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে ওঠে।

তুলা অন্যের মনে কষ্ট দিতে ঘৃণা করে। কিন্তু বিতর্কের সময় নিজের অজ্ঞাতেই রূঢ় মন্তব্য করে অন্যকে কষ্ট দিয়ে বসে। সে ‘না’ বলতেও ঘৃণাবোধ করে। একবার যদি তুলাটির মনে হয় যে সে আপনার সাথে কিংবা আপনার অতীত প্রণয়ের জের বহন করছে এমন কারো সাথে সে অবিচার করছে কিংবা তার সততা পুরোপুরো খাঁটি নয়, তাহলে সে অন্তহীনভাবে তার সিদ্ধান্তহীনতার মনোকষ্টে ভুগবে। কোন ব্যাপারে অসৎ হওয়া তার কাছে মোটামুটি খুনের অপরাধ করার সমান।

এই পুরুষটির কাছ থেকে আপনি প্রচুর সংখ্যক বিনামূল্য উপদেশ পাবেন। তার কাছে আপনার যেকোন সমস্যার উপযুক্ত সমাধান রয়েছে এবং আপনার যেকোন প্রশ্নের উত্তরও তার জানা আছে। কিছু কিছু স্বপ্নকে সে বদলে দেবে, আর বাদবাকীগুলো নিয়ে আপনার সাথে তর্ক জুড়ে দেবে।

কিন্তু তারপরও সতর্ক করেই বলছি একবার তুলা জাতকের যাদুর স্পর্শ আপনার হৃদয়ে পৌঁছে গেলে তাকে ছেড়ে ফিরে আসা আপনার জন্যে খুব কঠিন হয়ে পড়বে। তুলা জাতকের কাছ থেকে নিজেকে ছুটিয়ে নিয়ে আসার চেয়ে ভালুকের ফাঁদ থেকে পালিয়ে আসা অনেক সহজ ব্যাপার। তার স্বপ্নগুলোই আপনার স্বপ্ন হয়ে উঠবে, আর তাকে সুখী করার চেয়ে আপনার আর কোনকিছুই এতো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হবে না। একজন তৃষ্ণার্ত পথিক যেমন পানি খুঁজে ফেরে, তেমনি আপনিও তার হাসিটি খুঁজে ফিরবেন। তুলা পুরুষের হাসি উপেক্ষা করতে হলে আপনাকে একজন হৃদয়হীন শুষ্ক মানুষ হতে হবে। আর তার হাসির বিশুদ্ধতার যাদু এড়িয়ে যেতে হলে আপনার সমস্ত ইচ্ছাশক্তি জড়ো করতে হবে।

অন্যদিকে তার যেটা সমস্যা সেটা হলো, তুলার পাল্লাটা এদিক ওদিক উঁচু-নিচু হলেই তার মধ্যে উদ্ভট অসঙ্গতি দেখা দেয়। তার মনোযোগ আকর্ষণ করতে আপনাকে চিৎকার করতে হবে, বা তাকে ধাক্কা দিয়ে লেকে ফেলে দিতে হবে, কিংবা নিজের মাথায় ভর দিয়ে পা উপরে তুলে দিয়ে তাকে কোন কিছু করতে বাধ্য করতে হবে। যদিও সে স্বয়ং শুক্র দ্বারা শাসিত কিন্তু তাই বলে ততটুকু সরল মনে প্রত্যাশা করবেন যে আপনাদের ভালোবাসা চিরসুন্দর, চিরশান্তিময় হয়ে উঠবে - সেটা ভুলই হবে।

অবশ্য তার জন্মকুষ্ঠিতে জল রাশির যোগ, বা জলে চন্দ্রের যোগ থাকলে অন্য কথা; ভালোবাসার ব্যাপারে সুচারু বলেই যে আপনার বিভিন্ন অনুভব-অনুভূতির ব্যাপারেও সে সমব্যথী হয়ে উঠবে এমন কোন কথা নেই। নিজের অনুভূতির সাথে খাপ খাইয়ে থাকাতেই সে হিমশিম খাচ্ছে। কোনকিছুই তাকে হয়তো ততটুকু বিরক্ত করবে না যতটুকু করবে কারো কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে এসে তার কাছে সেটার বিবরণ দিতে গেলে।

জন্মকুষ্ঠিতে মিতব্যয়িতার প্রভাব না থাকলে, তুলা পুরুষরা সাধারণত খরচের ব্যাপারে তেমন শক্ত হয় না। বরং টাকা থাকলে তাদের হাত চুলকোতে শুরু করে। যেসব বস্তু বা জিনিসপত্র জীবনে সৌন্দর্য এবং সুখ বয়ে আনতে সক্ষম সেগুলোর পেছনে টাকা খরচ করাই তার মতাদর্শ। পরের গোপন ব্যাপারগুলোকে সমূলে উৎপাটন করার ব্যাপারে তার তেমন আগ্রহ নেই। হয়তো তাকে এক নজর দেখে মনে হতে পারে যে সে আগ্রহী, কিন্তু আরেকবার ঠিকমতো দেখুন। তার নাকের দুই ইঞ্চি নিচে কী ঘটছে সেটাও সে প্রায়ই ধরতে ব্যর্থ হয়। সাধারণত তুলা জাতক বা জাতিকার মানসিকতা হলো প্রথমে জীবন সঙ্গী এবং পরে সন্তান।

একজন তুলা জাতকের জন্যে নিজের মনকে স্থির করা, একটা বন্য মহিষকে বশ মানাবার থেকে কম কষ্টের কাজ নয়। আর মনস্থির করার পর তার যদি মনে হয় যে ভুল করা হয়েছে তাহলে কোন সতর্কতা দেয়া ব্যতিরেকেই সে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। তুলা পুরুষটি মহিলাটিকে অফিস যাবার পথে নামিয়ে দিয়ে গেলে মহিলাটি দুঃশ্চিন্তা করতে শুরু করে। তার দেয়া কথাগুলো এতই মধুর ছিলো যে সেগুলো সত্য বলে মেনে নিতে পারছিলো না বেচারি। তাই তাকে সে ফোন করে, এইটুকু প্রমাণ করতে যে সে স্বপ্ন দেখছিলো না। পুরষটি তখনও উত্তেজনায় আপ্লুত হয়ে আছে, তাই সে তার সবগুলো কথাই আবার বলে এবং তাকে নিশ্চিন্ত করে। এবং পরবর্তী সপ্তাহে আবার একসাথে বসবার একটি দিন নির্দিষ্ট করে।

তুলা পুরুষরা সন্দিগ্ধতাকে ঘৃণা করে, এবং নিজেকে স্থিরচিত্ত রাখার জন্যে তার জন্যে অপরিহার্য সামঞ্জস্য। তার বাড়িটা হওয়া চাই বাইরের কোলাহলময় বিশ্ব থেকে ভিন্ন একটা শান্ত সুন্দর আবাসস্থল। অন্যথায় তার পাল্লাটা চিরতরে নিজের সাম্য হারাবে। যেহেতু সে নিজে তেমন একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ঘাটাঘাটি করে না, তাই কেন সে বাসায় ফেরে না, কিংবা যখন ফেরে তখন শুধুই ঘুমিয়ে কাটায় সেটা বুঝতে আপনাকে স্মার্ট হতে হবে। মনে রাখবেন, নিজের অনুভূতি বর্ণনার ক্ষেত্রে সে দুর্বল তাই আপনাকে অবশ্যই একজন বিশ্লেষণকারীতে পরিণত হতে হবে।


সুত্রঃ http://www.rashi12.com/

No comments:

Post a Comment