~~ তৃতীয় পাতা ~~
~~
চতুর্থ
পাতা ~~
সময়
চলতে থাকে আপন গতিতে। দিন-মাস
থেকে বছর চলে যায় কিন্তু রবী
বাবুর ভাগ্যের আর পরিবর্তন
হয় না। এমনি করে সবাই রিতা
রানী কে পরবর্তী সন্তান নেয়ার
জন্য মানসিক ভাবে চাপ দিতে
থাকে এবং সন্তান যেন অবস্যই
পুত্র হয়। কিন্তু কেহই রবী
বাবুর আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা
করতে রাজি নয়।
যাই
হোক রিতা রানী গর্ভবতী হলেন,
দেখতে
দেখতে প্রায় সাত মাস অতিবাহিত
হয়ে গেল। মতি লাল বাবু আসলেন
মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে
যেতে এবং সন্তান যেন সেই বাড়িতেই
হয় এমন ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।
মামা
বাড়ীতেই বাংলা ১৩৮৯ সনের ১২
আশ্বিন বুধবার রাত ১২.৩০
মিনিটে জন্ম নিলো রাম কৃষ্ণ
নামের রিতা রানীর পুত্র সন্তান,
সরকার
বংশের প্রথম পুত্র সন্তান
তাই সবাই ভীষন খুশী। জন্মের
কয়েক মাস পরে বুঝা গেল ছেলের
ডান পায়ের পাতা সম্পূর্ন বাকা।
চন্দ্র বা সূর্য গ্রহনের ফলে
এমন হয়েছিল। কালী পদ বাবু খুবই
চিন্তায় পরে গেলেন প্রথম নাতি
তাও আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী।
কালী পদ বাবু সমাধান খুজতে
থাকলেন। পংগু হাসপাতালে দেখানো
হলো ডাক্তার বললো পায়ের পাতা
কেটে আবার জোরা দিতে হবে,
মিনতি
রানীর মনটা সায় দিল না,
নাতীর
পায়ের পাতা কাটলে তো পরবর্তী
জীবনে পায়ে তেমন জোড় পাবে না।
তখন
থেকেই কবিরাজী চিকিৎসা শুরু
করলো তারা,
যেকরেই
হোক পা তো ঠিক করতেই হবে। একদিন
কালী পদ বাবু অলৌকিক ভাবে এর
সমাধান পেয়ে যান। কিছুটা মন
খারপ অবস্থায় বসে ছিলেন তার
দোকানে,
এমন
সময় এক লোক এসে তাকে মন খারাপ
থাকার কারন যানতে চান। তিনি
সব খুলে বলে আগন্তুকের কাছে
সব কথা শুনো সেই আগন্তুক একটি
গাছের শিকর দিলেন এবং কিছু
নিয়ম কানুন বলে দিলেন কি ভাবে
কি করতে হবে। কালী পদ বাবু
শিকর টি দোকানের ভিতরে রাখতে
যায় এসে আর ঐ লোকটি আর দোকানে
ও এর আশেপাসে খুজে পাওয়া গেল
না।
সেই
নিয়ম মাফিক চিকিৎসা চলতে থাকে
পাঁচ-ছয়
বছর,
এখন
রাম কৃষ্ণ স্বাভাবিক ভাবে
হাটতে পারে। অভাব যেন রবী
বাবুর জীবনে বন্ধুত্ত করে
নিয়েছে,
তাই
কিছুতেই তা আর যাইতে যায় না।
বছর দুই পর আরো একটি কন্যা
সন্তানের মা হোন রিতা রানী
বাংলা ১৩৯১ সালের ১৫ ভাদ্র
শনিবার বিকাল ৫ টা য়। এটিও মতি
লাল বাবুর বাড়ীতে জন্ম গ্রহন
করে।
No comments:
Post a Comment