The Web This Blog

Sunday, September 15, 2019

নারী থেকে মা (দ্বিতীয় পাতা)

~~ প্রথম পাতা ~~
~~ দ্বিতীয় পাতা~~

বাংলা ১৩৮৫ সনের ২২ অগ্রহায়ণ, ইংরেজী ১৯৭৮ সালের ৯ই ডিসেম্বর, শুক্রবার শুভ বিবাহের দিন ধার্য করা হলো। বিয়েতে মতি বাবু মেয়ে ও জামাই কে নগদ ২,০০০ টাকা ও আট আনা স্বর্ণ দিয়ে গহনা তৈরি করে মেয়ে বিয়ে দিলেন। কারো কারো সারাটা জীবন কষ্টের মধ্যেই কাটে। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে সুখে দিন কাটাবে এটাই সব মেয়ের আশা। কিন্তু মানুষের সব আশা কি পুরন হয়? যৌথ পরিবার মানে তখনকার অভিবাবকদের কাছে মেয়ের জন্য স্বর্গ। বিয়ের পর আন্না রানী শীল এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রিতা রানী সরকার। স্বামী আদর করে এই নাম রাখলেন। এটা তাদের পারিবারিক নিয়ম।

দশ সদস্যের পরিবারে নতুন সদস্যা যুক্ত হলো সকলেরই থাকার রুম একটা। নতুন বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী হিসাবে তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা নাই। এক ঘরের মধ্যেই পর্দা দিয়ে আলাদা ঘরের মত করে দেয়া হলো নব দম্পতিকে। এই পরিবারে আসার পর রিতা রানী পরিবারের সকল কাজের দায়িত্ব তুলে লিনেন নিজ হাতে। প্রচলিত একটি কথা আছে পরিবারের বড় ছেলেরা বোকা হয়। তেমনি কিছুটা সরল মনের মানুষ রবীন্দ্রনাথ সরকার। স্বামীর দিকে তাকিয়ে সব কিছু মেনে নিলেন রিতা রানী। একদিন হয়তো ঈশ্বর তাদের দিকে মুখ তুলে তাকাবে। 
 
দেবর ও ননদের সাথে বড় বৌদি অল্পদিনেই বন্ধুত্ব জমে উঠলো। বৌদি হিসাবে তিনিও সকলকে ছোট ভাই বোনের মতই দেখেন। বৌদি যখন তার বাবার বাড়ী যায় বেরাতে তখন সকল দেবর-ননদরাও বায়না ধরে বৌদির সাথে তাদের গ্রামে বেরাতে যাবে। তখন ঢাকার ডেমরা থেকে লঞ্চে করে তাদের বাড়ীতে যেত হত। এভাবেই দিন কাটতে থাকে। 
 
কালী পদ সরকার ও মিনতী রানী সরকার বড় ছেলে বিয়ে দিয়েছেন প্রায় বছর হয়ে আসলো। এখন তো নাতি-নাতনি দেখার সময়। বড় বৌকে তারা তাদের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করে। রবীন্দ্রনাথ বাবু তখন একটি সেলুন দিয়েছেন। সেখানে যা কাজ হয় তা দিয়ে সংসার কোন ভাবে দিন কাটে তাদের। এর মধ্যে সংসারে আরো একজন কি ভাবে আনা যায়। এমনিভাবে কিছুদিন যাবার পর গর্ভে এক কন্যা সন্তান আসে। গর্ভধারণের তিন-চার মাস হবার পর রবীন্দ্রনাথ এর ইচ্ছা হলো ভারতে যাবে এবং স্থায়ী ভাবে বসবাস করবে। 
 
~~ তৃতীয় পাতা ~~

No comments:

Post a Comment