আমার
এই লেখাটি প্রয়াত জনপ্রিয়
লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্যার কে
উৎসর্গ করলাম। কারন তার লেখা
পড়েই আমার লেখার অনুপ্রেরণা।
গল্পের চরিত্রগুলো কাল্পনিক
তাই কারও জীবনের সাথে মিলে
গেলে সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত
ও কাকতালীয়।
~~
সূচনা
~~
গল্পের
পটভূমি বিংশ শতাব্দীর প্রথম
দিকের কোন এক বিকাল থেকে শুরু।
গল্পের দুই প্রধান চরিত্র
নায়ক উদয় আর নায়িকা প্রিয়া,
তাদের
দুইজনকে ঘিরেই গল্পের সকল
কিছু।
পরিচিতি:-
নায়ক
উদয় একজন নরম মনের সহজ সরল
ছেলে। শহরের সাধারন মধ্যবিত্ত
পরিবারের মধ্যে বড় হয়ে উঠা।
কোন মেয়ে কিছুটা হাসি মুখে
কথা বললেই মনে হয় কিছু কি একটা
হয়ে গেল নাকি!!
সবেমাত্র
এস এস সি পরীক্ষা শেষ করেছে
তাই ভবিষ্যত জীবন নিয়ে অনেক
স্বপ্ন তার মনে। জীবনে অনেক
মেয়েকে ভাল লেগেছে কিন্তু
ভালবেসেছে একজনকেই। বসবাস
ঢাকার এর লালবাগ এলাকায়।
অপরদিকে,
নায়িকা
প্রিয়া একজন চঞ্চলা,
ধনী
কিন্তু ভাল মনের মেয়ে। সহজেই
মানুষকে বিশ্বাস করে ও মানুষ
ও তাকে খুব ভালবাসে। মফস্বল
শহরে বড় হয়ে উঠা,
বাবা
সিঙ্গাপুর থাকে। এক বাপের এক
মেয়ে বিধায় খুবই আদরের। বসবাস
নারায়নগঞ্জ এর সোনারগাঁও
গ্রামে।
দুই
জন সম্পর্কে পিসতুতো-মামাতো
ভাই বোন। উদয় ও প্রিয়ার বয়সের
পার্থক্য প্রায় দুই বছরের
মত।ছেলেটি প্রতি বছরই বার্ষিক
পরীক্ষা শেষ করে তার মামা
বাড়ীতে বেড়াতে যেত। যেহেতু
অনেক দিন পর পর যায় তাই মামা-মামি,
দাদু-দিদিমা
ও অন্যরা খুবই আদর করে। ভাই-বোন
হিসাবে এক সাথে খেলাধুলা
দুষ্টামি সবকিছু হয় তবে কেও
তেমন কোন বাধা দেয় না ছোট মানুষ
মনে করে।
গত
দুই-তিন
বছর মামা বাড়িতে যেতে পারেনি
উদয় এস এস সি পরিক্ষার কারনে।
সে সময় এস এস সি পরীক্ষাকে বেশ
কঠিন ভাবেই দেখা হতো তার উপরে
উদয় ছিল আবার বিজ্ঞান বিভাগের
ছাত্র। এস এস সি পরীক্ষা শেষ
করেই উদয়ের হাতে এখন অনেক সময়
তাই মামা বাড়ি,
মাসি
বাড়ি বেড়াতে যাওয়া যেতেই পারে।
যেমন ভাবা তেমন কাজ,
সে
একদিন চলে গেল মামার বাড়ি।
সবাই তখন ভিশন খুশি,
সবাই
খোজ খবর নিতে থাকে বাসার সবাই
কেমন আছে,
পরীক্ষা
কেমন হলো ইত্যাদি ইত্যাদি।
তখনও প্রিয়া দিবা নিদ্রায়
ছিল। মামি তাকে ডেকে তুলে বলে
দেখ কে এসেছে,
প্রিয়া
চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসে উদয়কে
দেখে একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে
জিজ্ঞাস করলো কেমন আছো তুমি?
কখন
আসলে?
প্রিয়া
সবে মাত্র নবম শ্রেনীতে,
বেশ
কয়েক বছর পর প্রিয়াকে দেখা,
শরীরে
ও মনের দিক দিয়ে প্রিয়া এখন
বেশ বড়। সেই হাসি ও সেই জিজ্ঞাসা
উদয় বাকি জীবনেও ভুলতে পারেনি।
সেদিন প্রিয়ার গায়ে পরা ছিল
হালকা গোলাপি রংগের সুতি কামিজ
ও হাফ প্যান্ট,
গায়ে
কোন ওড়না না থাকায় শুধু কামিজে
প্রিয়া কে আরো অনেক বেশি
আকর্ষনীয় মনে হয়ে ছিল। প্রথম
দর্শনে ভালো লাগা বা প্রেমে
পরা যাকে বলে। প্রিয়া তাকে
ভালবাসে কিনা বুঝে উঠার আগেই
উদয় তাকে ভালবাসার কথাটি বলতে
চায় এবং সুযোগ খুজতে থাকে।
No comments:
Post a Comment