~~
পঞ্চম
দৃশ্য ~~
সময়
কেমন করে যেন সব পরিবর্তন হয়ে
যায়,
প্রিয়া
ঢাকার একটি নামী দামী কলেজে
ভর্তি হয়ে থেকে যার কলেজের
কাছেই একটি ছাত্রী হোস্টেলে।
এদিকে নতুন চাকরি পায় উদয়,
কিছুটা
ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটতে
থাকে তার। মাঝে মাঝে তাদের
মধ্য ফোনে কথা হয়। দেখা করতে
চায় উদয় কিন্তু কোন এক অজনা
কারনে প্রিয়া দেখা করতে চায়
না। কিছুই যেন ভাল লাগছে না
উদয়ের।
একদিন
উদয় ঠিকানা মতো হাজির হয় প্রিয়ার
কলেজের সামনে। অপেক্ষা করতে
থাকে প্রিয়া কখন আসবে আর তার
সেই মন ভুলান হাসি হাসবে।
প্রিয়া কলেজ থেক বের হয়েই তার
হোস্টেলের দিকে হাটতে থাকে,
উদয়
পিছন থেকে ডাক দেয় প্রিয়া বলে।
প্রিয়া কিছুটা অপ্রত্যাশিত
ভাবে তাকায় উদয়ের দিকে,
কিন্তু
উদয় যেই হাসিটা দেখার জন্য
এত কষ্ট করে অপেক্ষা করছিল
সেটা আর দেখা হল না। প্রিয়া
জিজ্ঞাস করলো কি ব্যাপার
এখানে,
কি
ভাবে আসলা?
উদয়
তার এই প্রশ্নে কেমন যেন
ভালবাসার ঘাটতি অনুভব করলো।
কয়েকটি কথা বলে বিদায় নিল
দুইজনেই।
উদয়
তার মা-কে
তার খুব ভালবাসে,
মা
যা বলবে উদয়ের জীবনে সেটাই
মানতে হবে। উদয়ের মা কিছুটা
বুঝতে পারলো ছেলের জীবনে
কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। সে
বুঝায় প্রিয়া ধনী ঘরের মেয়ে,
বাবা
বিদেশ ফেরত,
সে
কখনোই এই সম্পর্ক মেনে নিবে
না। তাই সময় নষ্ট না করে লেখাপড়ায়
মনযোগ দাও। সময় সব ঠিক করে
দিবে। উদয় তার মন কে শক্ত করে
প্রিয়াকে যেমন করেই হোক ভুলতে
হবে।
সময়ের
নিয়মে উদয় চাকরি নিয়ে চলে যায়
ঢাকার বাইরে। তার কিছু দিন
পর খবর আসে প্রিয়া কলেজের
পাশের এক ছেলের প্রেমে পরেছে।
ছেলেটি ধনী,
বাড়ী
ও গাড়ি দুইটাই আছে তার। উদয়
প্রিয়ার জন্য আশির্বাদ করে
যেন সে ভাল থাকে। কিন্তু না
ছেলেটি প্রিয়ার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
করছে,
সিনেমার
কাহিনীর মত একদিন প্রিয়াকে
একটি হেটেলে নিয়ে যায় সেই
ছেলেটি। তার সাথে জোরপূর্বক
শারীরিক সম্পর্ক করে এবং তা
ছবি তুলে রাখে। তারপর প্রিয়ার
কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি
করে সেই ছেলেটি,
না
হলে প্রিয়ার বাবা-মার
কাছে সেই ছবি তুলে দেওয়া হবে
বলে ভয় দেখায়। প্রিয়া কিছুদিন
বিভিন্ন আত্বীয়-স্বজনদের
কাছ থেকে টাকা এনে সেই ছেলেকে
দিতে থাকে। যখন আর কিছুতেই
পারছিল না তখন বাধ্য হয়েই
প্রিয়া তার বাবা মার কাছে সব
খুলে বলে। প্রিয়ার বাবা তাকে
ঢাকা থেকে অনেক দুরে এক আত্বীয়র
কাছে রেখে আসে।
No comments:
Post a Comment