~~
চতুর্থ
দৃশ্য ~~
সময়
বইতে থাকে,
উদয়
এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ করেছে।
এদিকে প্রিয়াও এস এস সি পরীক্ষা
শেষ করে ঢাকায় এসেছে কলেজে
ভর্তির কোচিং করতে। উদয় লক্ষ
করলো প্রিয়ার ব্যবহার কেমন
যেন পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্রিয়া
কি সব ভুলে গেছে তাদের সেই
রাতের ঘটনা। পরে বুঝল না এটা
উদয়কে পরীক্ষা করার জন্য করছে।
যাতে উদয়ের পরিবারের কেও কিছু
বুঝতে না পারে।
একদিন
প্রিয়া কেচিং এ যাবার জন্য
প্রস্তুত হচ্ছিল,
এমন
সময় উদয় সেই ঘরে ঢুকল। প্রিয়া
তাকে জিজ্ঞাসা করলো বলতো,
ছেলেরা
মেয়েদের পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতে
চায় কেন?
আর
জরিয়ে ধরেই নাভিতে বা তল পেটে
হাত দেয় কেন?
উদয়
যেন আকাশ থেকে পরলো। এমন প্রশ্ন
কোন মেয়ে করতে পারে সে জানতো
না। সে কোন উত্তর দিতে পারলো
না। প্রিয়া হাসতে হাসতে চুল
ঠিক করতে থাকে।
তখন
ছিল চিঠির যুগ,
একে
ওপরকে অনেক চিঠি লিখত। প্রিয়াই
বেশি লিখত। উদয়ের কাছে অনেকদিন
সেই চিঠিগুলো সংগ্রহ করা ছিল।
একে অপরকে অনেক উপহার দিত।
ঢাকায় থাকার সুবাদে এবং প্রিয়ার
কোচিং আছে বলে তারা দুইজনই
একসাথে অনেক জায়গার বেড়ানোর
সুযোগ পেল। ঘুরতে যাওয়া,
সিনেমা
দেখা,
খাওয়া
দাওয়াও হয় মনের আনন্দে।
কিছুদিন
পর প্রিয়া তার গ্রামের বাড়ি
চলে যায়। উদয়কে বলে এবারের
আমার জন্মদিনে তোমাকে আমার
পাশে চাই। উদয় দিন গুনতে থাকে
২০০২ সালের ২২ শে জুন শনিবার
তারিখটি কবে আসবে। সে দিনটিই
ছিল প্রিয়ার জন্মদিন।
উদয়
সুন্দর একটি পিরামিড মোমবাতি
কিনল আড়ং থেকে জন্মদিনের উপহার
হিসাবে। ২০ তারিখই চলে আসে
সে তার মামা বাড়ি তার প্রিয়তমাকে
দেখার জন্য। সৌভাগ্যক্রমে
প্রিয়ার মা ঢাকায় আসে ২১ তারিখে
ডাক্তার দেখাতে। উদয় প্রিয়াকে
বলে আজকে রাত্রে তুমি একটি
শাড়ী পরো,
প্রিয়া
রাজি হয় কিন্তু বলে তুমি যদি
আমাকে মাথায় খোপা করে দিতে
পার তাহলে আমি শাড়ী পরতে পারি।
সন্ধার
পর প্রিয়া উদয়ের পচ্ছন্দের
নীল রঙ্গের একটি শাড়ী পরে।
উদয় বিকালেই একটি লাল গোলাপ
বাগান থেকে জোগার করে রাখে
প্রিয়ার খোপায় পরাবে বলে।
প্রিয়া তার মার শাড়ী টি পরে
এসে উদয়কে বলে কেমন লাগছে
আমাকে। উদয় খুশি হয়,
বলে
আস খোপা করে দেই। উদয় কয়েকবার
চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় চুলের
খোপা করতে। প্রিয়া নিজেই তার
চুলের খোপা করে তাতে উদয় গোলাপ
ফুলটি গুজে দেয় সুন্দর করে।
পিরামিড মোমবাতিটি হাতে দিয়ে
বলে কখনো ব্যবহার কর না। তাহলে
মোমবাতির সাথে সাথে ভালবাসাও
শেষ হয়ে যাবে।
সেই
রাতে তাদের এক সাথে থাকার
সুযোগ হয়। উদয় সারা রাত প্রিয়ার
কোলে মাথা রেখে গল্প করতে
থাকে। প্রিয়া উদয়য়ের মাথায়
হাত বুলাতে থাকে আর চলতে থাকে
নানান রকম কথা,
গল্প
ও ভালবাসার আদর। যেন সারা
রাতেই যেন তাদের কথা আর শেষ
হয় না। কিভাবে যে রাত শেষ হয়ে
গেল কেও বুঝল না।
No comments:
Post a Comment