প্রথম দিন ........
ভোরে উঠে ইষ্টভৃতি, প্রার্থনা করে আবার কিছু সময় ঘুমালাম সবাই। সকালে উঠে আমি আর বিধান কাকা রান্নার জন্য় তরিতরকারি কাটতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। কল্য়ান দা একটি ছোট কাচাঁ কাঠাল পারলেন পরে সুবিধামত সময়ে রন্না হবে। তিনি রান্না চাপায়ে দিলেন। সকালের খাবার সেরেই আমরা তিন জন বেরিয়ে গেলাম বড় বাজারের উদ্দেশ্যে। সেখানে কেনা কাটা করলাম আমি ধুতি, শাড়ি, শাল। অন্যরাও তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা কাটা করে নিলো।
আমার একটি বিশেষ দায়িত্ব ছিল কে কত খাবার, বাস ভাড়া ও অন্যান্ন খরচ করছি তার হিসাব রাখা ও দিন শেষে তা ভাগ করে একে অপরকে পরিষোধ করা। সেখান থেকে আমরা গেলাম নিউ মার্কেট। সেখানেও কেনা কাটা। আমার আগের থেকেই একটি ট্রলি ব্যাগের প্রয়োজন ছিল, তাই শ্রীলেদার কলকাতা থেকে কিনে নিলাম, সাথে দুই মেয়ের জন্য দুইটি একই রকম জুতা, আমার জন্য প্রিয় মডলের একটি কেস। সকলেই তাদের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুসারে কেনা কাটা করে বের হলাম। সবাই কেনা কাটা করছে মন খুলে আমি শুধু হিসাব করছি এই পন্যটি বাংলাদেশের টাকার হিসেবে কত পরছে। কারন প্রথম বার তাই কিছুটা টাকা / রুপির হিসাবটা কিছুটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল আমার।
এতটাই কেনা কাটা হয়ে গেল যে বাসে ফিরে আসা অনেকটাই কষ্টকর। তাই একটি টেক্সি করে আমরা মন্দিরে ফিরে আসলাম। পরের দিন দেওঘর যাবো তাই কিছুটা ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম সবাই। মন্দিরে কিছুটা বিরতি নিয়ে আবার চলে গেলাম হালকা কিছু নাস্তা করতে তারপর Smart Bazar (Big Bazar) বাগুইআটি শাখায়। সেখানে ১লা বৈশাখ উপলক্ষে চলছিল মূল্য ছাড়। সেখানেও কেনা কাটা আর কেনা কাটা। ফ্রী হিসাবে পেলাম ২ কেজি ময়দা ও ১ কেজি চিনি। মন্দিরে ফিরে আসার পথে দেখা হয়ে গেল শ্রদ্ধেয় গোপাল তেয়ারী (সহ-প্রতি ঋত্বিক) দাদা সাথে। তাকে সাথে নিয়ে মন্দিরে ফিরে আসলাম।
আমার দেওঘর যাবার কয়েকটি উদ্দেশ্য ছিল, সর্ব প্রথম প্রিয়পরমের নিলা ভূমি দর্শন, শ্রীশ্রীঠাকুর এর বিশেষ একটি বিগ্রহ সংগ্রহ, কলকাতা থেকে কিছু কেনাকাটা ও নতুন কিছু ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা। যার প্রতিটিই পূর্ন হয়েছে। বেশি হিসেবে আরো কিছু বেশি পেয়েছি। কলকাতার মানুষের জীবনযাত্রাও আমাকে অনেক আকর্ষিত করেছে।
আমাদের কলকাতা থেকে দেওঘর যাবার দিন ঠিক করা ছিল ১০ই এপ্রিল এবং ১৫ই এপ্রিল দেওঘর থেকে কলকাতা। সেই মোতাবেক আগে থেকেই যথাক্রমে রাজধানী ইক্সপ্রেস ও কুম্ভূ ইক্সপ্রেস-এর হাওড়া জংশন থেকে জাসিডিহ এবং জাসিডিহ থেকে হাওড়া জংশনের টিকিট কাটা হয়। এই উপকারটি করে দেন আমাদের প্রিয় গোপাল তেয়ারী (সহ-প্রতি ঋত্বিক) দাদা। তিনি বলে দিলেন কখন কি ভাবে গেলে ভালো হবে। তাকে সবার ট্রেনের টিকিটের মূল্য পরিশোধ করলাম আমরা। তারপর রাতের খাবার শেষ করে কমল দাদার সাথে কিছু গল্প করে ঘুমিয়ে পরলাম।
তৃতীয় দিন ....
No comments:
Post a Comment