The Web This Blog

Thursday, April 25, 2024

ষষ্ঠ দিন, ~ ১৩-০৪-২০২৪ই, শনিবার

পশ্চম দিন.....

আজ ৩০ শে চৈত্র, প্রিয়পরম শ্রীশ্রীঅনুকূলচন্দ্র চর্য্যাশ্রম কর্তৃক আয়োজিত “নববর্ষ পুরুষোত্তম স্বস্তি-তীর্থ মহাযজ্ঞ” এর প্রথম দিন। ব্রাহ্মমুহূর্তে জাগরনী ও নহবতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। নহবত অর্থ “কোনো উৎসব উপলক্ষ্যে প্রহরে প্রহরে সানাই প্রভৃতির বৃন্দবাদন।“ আমরা সবাই নহবত দেখার জন্য ব্রাহ্মমুহূর্তের পূর্বেই স্নান ও ইষ্টভৃতি শেষ করে চলে আসি উৎসব অঙ্গনে। তারপর উষাকীর্তন দিয়ে নগর পরিক্রমা হলো। ধিরে ধিরে আরো ভক্তবৃন্দ উৎসব অঙ্গনে এসে হাজির হতে থাকে। কিছুক্ষন পর পূজনীয় শ্রীবৌধায়ন চক্রবর্ত্তী দাদা এসে উপস্থিৎ হন।

প্রাতঃ ৪.৪৫ মিনিটঃ- সমবেত প্রার্থনা, বিভিন্ন ভাষায় সত্যানুসরণ পাঠ (বাংলা, হিন্দি, নেপালী, অসমীয় ও ওড়িয়া) ।

সকাল ৭ টাঃ- আর্য্যকৃষ্টি পতাকা উত্তোলন এবং নববর্ষ পুরুষোত্তম স্বস্তি-তীর্থ মহাযজ্ঞ এর শুভ উদ্বোধন।

সকাল ৭.৩০ মিনিটঃ- শ্রীশ্রীঠাকুর পুজা, ভোগ নিবেদন ও প্রসাদ বিতরন।

এই সময়ে আমরা সবাই শ্রীশ্রীঠাকুর বাড়ি যাই প্রিয়পরমকে প্রনাম করতে। সেখানে পূজনীয় শ্রীঅর্কদূতি চক্রবর্ত্তী ওরফে বাবাই দাদার আলোচনা চলছিল। কিছু সময় সেখানে অতিবাহিত করে চলে আসলাম।

সকাল ১০ ঘটিকায়ঃ- “নিরামিষ আহারই স্বাস্থ্যপ্রদ ও জীবনীয়” বিষয়ক বোধবীক্ষনী আলোচনা সভা হলো। 

আজ আমদের সাথে যুক্ত হলো কুষ্টিয়া থেকে দিপক নামে বিধান কাকার এক গ্রাম্য ভাই। মধ্যাহ্নে আনন্দ বাজার শেষ করে সবাই কিছুটা ভাত ঘুম দিলাম। ইতি মধ্যে উৎপল কাকা, বলরাম ও তার ছেলে বিক্রমজিত বিদায় নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল। 

অপরাহ্ন ৩ টায়ঃ- গীতি-আলেখ্য ও কীর্ত্তন চলছিল।

সন্ধা ৬.০৬ মিনিটেঃ- সন্ধা সমবেত প্রার্থনা, বিভিন্ন ভাষায় সত্যানুসরণ পাঠ ও ভক্তিগীতি।

সন্ধা ৭.০০ মিনিটঃ- “স্বস্ত্যয়নী মুক্তি আনে রাষ্টসহ প্রতি জনে”- কেন ও কিভাবে এই বিষয়ক বিভিন্ন ভাষায় আলোচনা ও অধিবেশন চললো।

বলতেই হয় শ্রদ্ধেয় গোপাল তেওয়ারী (সহ-প্রতি ঋত্বিক) দাদার সুন্দর সঞ্চালায় মুগ্ধ আমি। 

রাতে যথা সময়ে আনন্দ বাজার গ্রহন করে, শ্রীশ্রীঠাকুর বাড়ীর আশে পাশে ঘুরা ঘুরি করে সেই দিনের কর্যক্রম শেষ করলাম আমরা।



   

 




No comments:

Post a Comment