The Web This Blog

Friday, April 26, 2024

অষ্টম দিন, ~ ১৫-০৪-২০২৪ই, সোমবার

সপ্তম দিন ....

গত কয়েকদিনের মত আজও আমরা সবাই নহবত দেখার জন্য ব্রাহ্মমুহূর্তের পূর্বেই স্নান ও ইষ্টভৃতি শেষ করে চলে আসি উৎসব অঙ্গনে। তারপর উষাকীর্তন দিয়ে নগর পরিক্রমা করলাম। আজ উৎসবের শেষ দিন। অনেক ভক্তই গতকাল ফিরে চলে গেছেন। যারা ছিলেন তাদের অনেক ভক্তবৃন্দ উৎসব অঙ্গনে এসে হাজির হতে থাকে। কিছুক্ষন পর পূজনীয় শ্রীবৌধায়ন দাদা এসে উপস্থিৎ হন সমবেত প্রার্থনাতে। 

প্রাতঃ ৪.৪৫ মিনিটঃ- সমবেত প্রার্থনা ও বিভিন্ন ভাষায় সত্যানুসরণ পাঠ (বাংলা, হিন্দি, নেপালী, অসমীয় ও ওড়িয়া)।

সকাল ৭.৩০ মিনিটঃ- শ্রীশ্রীঠাকুর পুজা, ভোগ নিবেদন ও প্রসাদ বিতরন।

সকাল ১০ ঘটিকাঃ- “যুক্ত জীবনই সুপ্ত জীবনকে জাগাতে পারে” – একথার তাৎপর্য বিষয়ক বোধবীক্ষনী আলোচনা সভা হলো।

সকালে বাজারে হাটা হাটা করার সময় দেখা হয়ে গেল ‘স্মৃতির মালা’ গ্রন্থের লেখক শ্রীমনিলাল চক্রবর্ত্তী দাদার সাথে। তার সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করে। স্বর্গীয় কেদারনাথ ভট্টাচার্য দাদার পুত্র, স্বর্গীয় কুমার কৃষ্ণ ভট্টচার্য (শ্রীশ্রীঠাকুর বিষয়ক বহু গ্রন্থের রচয়িতা) দাদার বাড়ি তে যাই কল্যান দা, প্রহলাদ দা ও আমি। সাথে ছিল স্বর্গীয় শ্রীনাথ দার পুত্র শ্রীউমা নাথ দা তিনিই আমাদের কুমার কৃষ্ণ ভট্টচার্য দাদার বাড়ীতে নিয়ে যান। “কেদারনাথ ভবনে” কিছুক্ষনপর আমাদের সাথে যুক্ত হলো স্নেহের কৌশিক চক্রবর্ত্তী (সহ-প্রতি ঋত্বিক) ও অর্কপ্রভ চ্যাটার্জী। সেখানে তার পুত্র বধুর আতিথিয়তায় আমরা সবাই মুদ্ধ। শ্রদ্ধয়া মা কুমার কৃষ্ণ ভট্টচার্য দাদার লেখা কয়েকটি বই এবং নিজ গাছের একটি করে লেবু আমাদের সকলকে উপহার দেন।

মধ্যাহ্নে আনন্দ বাজার বড় বাড়িতে সেরে কিছু সময় ভাত ঘুম দিলাম। আজও উৎসব অঙ্গনে অপরাহ্ন ৩ টায় ভক্তিগীতি চলছিল। আমার খুবই কাঙ্ক্ষিত একটি শ্রীশ্রীঠাকুর বিগ্রহ ক্রয় করি পূজনীয় শ্রীবৌধায়ন দাদার কাছ থেকে। আজ “যাজন পথে” বইটি ক্রয় করে পূজনীয় শ্রীবৌধায়ন দাদার কাছ থেকে স্মৃতি সাক্ষর সংগ্রহ করি। আজ রাতের ট্রেনে আমাদের কলকাতা ফিরে আসতে হবে তাই যাদের সাথে দেখা হচ্ছে তাদের কাছ থেকেই বিদায় নিয়ে নিলাম।

সন্ধা ৬.০৬ মিনিটেঃ- সন্ধা সমবেত প্রার্থনা, বিভিন্ন ভাষায় সত্যানুসরণ পাঠ ও ভক্তিগীতি হলো।

সন্ধা ৭.০০ মিনিটঃ- “শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাবাদর্শে শিক্ষাব্যবস্থা”- এই বিষয়ক বিভিন্ন ভাষায় আলোচনা ও অধিবেশন চললো।

রাত ১০ টার দিকে আমরা কুম্ভূ ইক্সপ্রেস ট্রেনে করে কলকাতা ফিরে আসবো তাই কিছুটা আগেই আনন্দ বাজার শেষ করলাম সবাই। পূজনীয় সকল দাদাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত রাজেন্দ্র দাদার সিএনজি করে জাশিডিই জংশনে পৌছাই। সেখানে স্লিপিং কোচে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চেপে এক ঘুমেই চলে আসলাম হাওড়া জংশনে। তখন প্রায় মধ্য রাত, ৩.৩০ মিনিট। একটি টেক্সি করে আমি ও কল্যান দা চলে আসলাম বাগুইআটি মন্দির। শিয়ালদা জংশনে নামিয়ে দেয়া হলে প্রহলাদ দা, বিধান কাকা ও দিপক কে। 

 
 
 
   

No comments:

Post a Comment