ষষ্ঠ দিন.....
আজ ১ লা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা, ব্রাহ্মমুহূর্তে জাগরনী ও নহবতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। আজও আমরা সবাই নহবত দেখার জন্য ব্রাহ্মমুহূর্তের পূর্বেই স্নান ও ইষ্টভৃতি শেষ করে চলে আসি উৎসব অঙ্গনে। তারপর উষাকীর্তন দিয়ে নগর পরিক্রমা হলো। ধিরে ধিরে আরো ভক্তবৃন্দ উৎসব অঙ্গনে এসে হাজির হতে থাকে। কিছুক্ষন পর পূজনীয় শ্রীবৌধায়ন চক্রবর্ত্তী দাদা এসে উপস্থিৎ হন।
প্রাতঃ ৪.৪৫ মিনিটঃ- সমবেত প্রার্থনা ও শ্রীশ্রীঠাকুরের আশীষবানী পাঠ হলো।
সকাল ৭.৩০ মিনিটঃ- শ্রীশ্রীঠাকুর পুজা, ভোগ নিবেদন ও প্রসাদ বিতরন।
সকাল ৯ টায়ঃ- পরিবারের ভাঙ্গন রোধে “নারীর নীতি” বিষয়ক মাতৃ সম্মেলন।
সকাল ১০ ঘটিকাঃ- ঋত্বিক ভবনে পূজ্যপাদ দাদার উপস্থিতিতে শুরু হয় ৯৮ তম, প্রিয়পরম শ্রীশ্রীঅনুকূলচন্দ্র চর্য্যাশ্রমের সর্ব্বভারতীয় ঋত্বিক সম্মেলন, সেখানে উপস্থিৎ ছিলাম আমরা।
মধ্যাহ্নে আনন্দ বাজার গ্রহন করে কিছু সময় ভাত ঘুম। উৎসব অঙ্গনে তখন অপরাহ্ন ৩ টায় ভক্তিগীতি চলছিল।
সন্ধা ৬.০৬ মিনিটেঃ- সন্ধা সমবেত প্রার্থনা, বিভিন্ন ভাষায় সত্যানুসরণ পাঠ ও ভক্তিগীতি।
পূর্বঘোষিত পূজ্যপাদ অধক্ষ্য শ্রীবিদ্যুৎরঞ্জন চক্রবর্ত্তী দাদাকে ভক্তদের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হলো। অনুষ্ঠানটি ছিল খুবই চমকপ্রদ ও সুন্দর একটি উপস্থাপনা। পূজ্যেপাদ দাদার সংক্ষিপ্ত জীবনি ও কিছু কর্মযোগ্য দেখানো হলো প্রজেক্টরে।
সন্ধা ৭.০০ মিনিটঃ- “নির্দ্বন্দ্ব আপূরয়মাণ আচার্য্যই জীবনবৃদ্ধির পথ”- এই বিষয়ক বিভিন্ন ভাষায় আলোচনা ও অধিবেশন চললো।
সেইদিন পরিকল্পনা করে সবাই বড় বাড়ীতে রাতের আনন্দ বাজার করলাম। সেখানে খেলার মাঠে কিছু সময় কাটিয়ে সেইদিনের কার্যক্রম শেষ হলো আমাদের।
অষ্টম দিন .....
No comments:
Post a Comment