The Web This Blog

Tuesday, April 23, 2024

তৃতীয় দিন, ~ ১০-০৪-২০২৪ই, বুধবার

দ্বিতীয় দিন...

সকালে উঠে কাঠালের ইচোর রান্না হলো। Smart Bazar থেকে পাওয়া চিনি ও ময়দা নিয়ে পূজনীয়া মা কে দিতে গেলাম তিনজন। সেখানে পূজনীয়া মা শুধু চিনি গ্রহন করলেন আর বললেন ময়দা তারা খায় না তাই ফিরত দিয়ে দিলেন। আমরা গতদিন মার্কেটে-মার্কেটে ঘুরেছি শুনে অবাক হলেন, যে এত কি কেনাকাটা করলা তোমরা। তারপর কিছু আলাপ আলোচনা করে মন্দির আশার পথে সবাই কিছু চকলেট কিনলাম। ট্রেনে ভ্রমনের সময় কিছু খেতে হবে তাই কিছু খাবারও কেনা হলো। 

সকালের খাবার খেয়ে বলরাম এর জন্য অপেক্ষা করা হলো কখন আসবে। এর মধ্যে প্রহলাদ দা সরাসরি মামার বাড়ি থেকে হাওড়া জংশন পৌছাবে। মন্দিরে এসে বলরাম ও বিক্রমজিত খাবার গ্রহন করলো, তারপর আমরা পাঁচজন একটি টেক্সি করে পৌছে গেলাম হাওড়া জংশন। প্রথম দেখা হাওড়া সেতু যা বর্তমানে রবীন্দ্র সেতু নামে পরিচিত। সেখানে প্লাটফরমে ব্যাগ-পত্র ও বলরামকে রেখে বাকি সবাই গেলাম হাওড়া জংশন ও রবীন্দ্র সেতুর কিছু ছবি তুলতে। 

যথা সময়ে ট্রেন এসে ৯ নম্বার প্লাটফর্মে থামলো। ঠিক দুপুর ২.০৫ মিনিটেই ট্রেন ছেড়ে দিল। আমি, কল্য়ান দা ও বিধান কাকা এক কামরা, বলরাম ও বিক্রমজিত এক কামরা এবং প্রহলাদ দা ভিন্ন কামরায় সিট পেয়েছিলাম। যোগাযোগ ব্যবস্থা কতটা আধুনিক তার অনেকটাই বুঝা যায় ভারতের দিকে তাকালে। সময়ানুবর্তিতার একটি উজ্জল উদাহরন ভারত। সেখানে রাত তিনটা বাজে দেখেছি ট্রাফিক সিগনালে লাল বাতি মানে গাড়ি থেমে থাকা, ট্রাফিক থাকুক না থাকুক। নারী-পুরুষ সমান বস্ত যে যার কাজ-কর্ম নিয়ে।   

ট্রেন ৫.৩০ মিনিটের কিছু পর থামলো জাসিডিই জংশনে। প্রতিটি জংশনেই দেখেছি মানুষের ঢল। এত বড় রেলগাড়ি আমার স্বচক্ষে দেখা প্রথম। কেউ ট্রেন থেকে নেমেছেন, কেউ পরবর্তী ট্রেন ধরবেন, কারো বা আরো দেরি আছে ট্রেন আসতে। কেউ ঘুমাচ্ছে, কেউ ঘুরছে বা কেউ সময় কাটাচ্ছে গল্প করেই। অটো চালক রাজেন্দ্র দা নামে এক গুরুভাই অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য। তিনিই পৌছেদিলেন আমাদের কাংক্ষিত দেওঘরের বিবেক পথে অবস্থিত বিবেক-বিতানে। তার গাড়িতে করেই আমরা ঘুরেছিলাম ও শেষদিন জাসিডিই জংশনে ফেরত আসি।

বিবেক-বিতান যখন পৌছাই তখন সন্ধা প্রার্থনা শেষ। সেখানে আমাদের জন্য পূর্বেই একটি কক্ষ ঠিক করা ছিল, অস্তিকায়নের দ্বিতীয় তলায়। রাজু দাদার সাথে পরিচয় হলো, তিনিই আমাদের কক্ষ ও চাবি বুঝেয়ে দিলেন। রাজু দা একজন পরিশ্রমী মানুষ। খুবই ভালো মনের একজন হাসি-খুসি মানুষ। থাকার ঘরে ব্যাগ-পত্র রেখে খোজ নিয়া হলো অধ্যাক্ষ পূজ্যপাদ শ্রীবিদ্যুৎরঞ্জন চক্রবর্ত্তী দাদা অফিসে আছে কিনা। জানতে পারলাম তিনি আসতে দেরি হবে। এর কিছু সময় পর আমাদের সাথে যুক্ত হয় আমার এক কাকা উৎপল বিশ্বাস যিনি কলকাতা থেকে প্রথমবার দেওঘর আসেন। 

পূজ্যপাদ দাদার অফিস আসতে দেরি হবে শুনেই আমরা চলে গেলাম বড় বাড়িতে, শ্রীশ্রীঠাকুর মন্দির প্রনাম করতে। সেখানে শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড় মা-কে প্রনাম করে ফিরে আসলাম বিবেক-বিতানে। যেহেতু উৎসব তখনো দুই দিন বাকি তাই উৎসব প্রস্তুতি তখনো চলছিল। পূজ্যপাদ দাদা অফিসে আসতেই আমরা তাকে প্রনাম করতে গেলাম। তিনি সবার খোজ খবর নিলেন। কিছু সময় তার সান্নিধ্য নিয়ে চলে গেলাম আনন্দ বাজার কক্ষে। সেখানে শ্রীশ্রীঠাকুর পরিবারের সকলেই আনন্দ বাজরের খাবার গ্রহন করেন। আনান্দ বাজার শেষ করে, বিবেক-বিতানে কিছু সময় অতিবাহিত করে সবাই চলে গেলাম অস্তিকায়নে। তারপর ঘুম  ……………

চতুর্থ দিন .....



No comments:

Post a Comment